গজারিয়া থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন ও এসআই বিরুদ্ধে তিন নারীকে মারধরের অভিযোগ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার টেঙ্গারচর গ্রামে তিন নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গজারিয়ার থানার ইনস্পেক্টর অপারেশন মোক্তার হোসেন এবং এসআই হেলাল উদ্দিন একটি অভিযোগের তদন্তে যায় টেঙ্গারচর। তখন তিন নারীকে উত্তেজিত হয়ে মারধর করে এবং বন্দুক ভরে দেওয়ারও ভয় দেখায়। এমন অভিযোগ করেছে পারভীন আক্তার ও তার মেয়ে শাকিলা এই অভিযোগ করেছে।বুধবার (৩০ মার্চ) এলাকায় গিয়ে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন টেংগারচর ইউনিয়নের টেংগারচর গ্রামে পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করেন মৃত আওয়াল হোসেনের পরিবার ও মোসাঃ পারভীন আক্তার, স্বামী আমজাদ হোসেনের পরিবার।

পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করায় তাদের মধ্যে বাড়ির পাশে রাস্তা নিয়ে ঝগড়াঝাটি হত। আাওয়াল হোসেনের ছেলেরা ভুক্তভোগী মোসাঃ পারভীনের সীমানায় টিনের বেড়া দিয়ে রাখছে। এজন্য তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারেনা। এ নিয়ে মোসাঃ পারভীন আক্তার প্রতিবাদ করায় মৃত আওয়াল হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তার বড় ছেলের বউ মাহমুদা আক্তার ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার, তার বড় বোন নুরজাহান ও তার মেয়ে শাকিলার নামে থানায় অভিযোগ করেন।

পারভীন আক্তার ও তার মেয়ে শাকিলা জানান, মনোয়ারা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে (২৭ মার্চ) রোববার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় গজারিয়া থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মোঃ মুক্তার হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ পারভীন আক্তারদের বাড়িতে যায় এবং তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে চলে আসে। পরের দিন (২৮ মার্চ) বিকাল ৪ ঘটিকায় ইন্সপেক্টর অপারেশন মোঃ মুক্তার হোসেন ও সাথে মহিলা পুলিশ তাদের বাড়িতে আবার যায়। ঐ এলাকায় এসআই হেলাল উদ্দিন কিলো ৩ ডিউটি করলে ইন্সপেক্টর মুক্তার হোসেন তাকে ফোন দেয় ডিউটি ফোর্স সহ চলে আসার জন্য।

পরে এসআই হেলাল ঘটনাস্থলে যায়। ইন্সপেক্টর অপারেশন মোঃ মুক্তার হোসেন আদেশ করেন তাদের গাড়িতে উঠানোর জন্য, পরে পারভীন আক্তার বলেন আমাদের নামে এখনও মামলা হয়নি তাহলে আমাদের নিয়ে যাবেন কেন? পরে এসআই হেলাল উদ্দিন তাকে বলে যে বেশি কথা বলবিনা গাড়িতে উঠ? তারপর পারভীন আক্তার বলেন কেন গাড়িতে উঠব? এই কথা বলাতে এসআই হেলাল পারভীন আক্তার কে গালের মধ্যে ২ টা থাপ্পড় মারেন, মহিলা পুলিশ ও দুইটা থাপ্পড় মারেন এবং এসআই হেলাল উদ্দিন মহিলা পুলিশের কাছ থেকে শর্টগান নিয়ে মোসাঃ পারভীন আক্তারকে বলেন এই শর্টগান ভরে দিব, পরে পারভীন আক্তারের মেয়ে শাকিলা ও বড় বোন নুরজাহান প্রতিবাদ করায় তাদের গালেও এসআই হেলাল ২ টা করে থাপ্পড় মারেন।

পরবর্তীতে বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে তাদের ৩ জনকে থানায় ধরে নিয়ে আসেন। পরে ঐ দিনই রাত ৮ ঘটিকায় পারভীন আক্তারের ভাই মোঃ বিল্লাল হোসেন তাদেরকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পারভীন নুরজাহান ও শাকিলা বলেন আমাদের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে সেই অভিযোগকারীদের কাছ থেকে ইন্সপেক্টর অপারেশন মোঃ মুক্তার হোসেন মোটা অংকের টাকা নিয়ে অভিযোগের পর কোন রকম তদন্ত ছাড়াই তাদের সাথে অসদাচরণ করা হয় এবং থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এস আই হেলালকে ৩ মহিলাকে মারধরের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, মারধরের কোন ঘটনা ঘটে নাই আর পাবলিক কত ধরণের কথাই বলতে পারে? তাদেরকে (মহিলাদেরকে) থানা ধরে আনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে সিনিয়র অফিসার ইন্সপেক্ট অপারেশন মুক্তার স্যার ভাল বলতে পারবেন । স্যারের অর্ডারে থানায় ধরে নিয়ে এসেছি। স্যারকে জিজ্ঞেস করলে সব জানতে পারবেন।

এ বিষয়ে ইনস্পেক্টর অপারেশন মোক্তার হোসেন জানান, অভিযোগকারীনী মনোয়ারা বেগমের স্বামীসহ তিনজনই পুরুষই বিদেশে থাকেন তাই তাদের জায়গা দখল করতে পারছে না এমন একটি অভিযোগ পাই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নুরজাহানের বাড়িতে যাই তদন্তের স্বার্থে। তবে নুরজাহান, পারভীন ও শাকিলাকে মারধর করার কথা অস্বীকার করে বলেন ঐ তিন মহিলার ভাতিজার সাথে একত্রে চাকুরী করেছি তাই তাদেরও সহযোগিতা করেছি।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: রইছ উদ্দিন জানান, এই তিন মহিলা তো থানায় এসেছিলো। তখন তো তারা এমন কোন অভিযোগ করেনি। তার পরেও তারা যদি থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত করে বিষয়টির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here