প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী-মাওয়া ব্যস্ততম সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করার ফলে সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকার পর উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও যেন আতঙ্ক রয়েই যাচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুতের সবকয়টি খুঁটিই রয়েছে সড়কের উপরে। খুঁটি গুলো প্রায় সড়কের ১ফুট থেকে দেড় ফুট ভিতরে রয়েছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অনেকে। সড়ক ও জনপদ সূত্রে জানাজায় সড়কটি ২৪ফুট প্রশস্ত দুই লেনের সড়ক করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবির সুজন জানান, এই সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনা লেগেই আছে। কিছুদিন আগেও এইপথে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এভাবে সড়কের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে বালিগাঁও বাজার কমিটির সদস্য সচিব আলমগীর কবির অভি মোল্লা বলেন, সড়কের উপর খুঁটি থাকলে সেটা যে কোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই খুঁটি গুলো অপসারণ করা প্রয়োজন।
নিরাপদ সড়ক চাই টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব সাইফুর রহমান জানান, যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক থেকে খুঁটি গুলো অপসারণ করা খুবই জরুরি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান করে বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি গুলো নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর করা এবং সেইসাথে বালিগাঁও বাজারকে দ্রুত ট্রাফিক পুলিশের আওতায় এনে নিরাপদ যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক।
উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ ডেপুটি ম্যানেজার হজরত আলী বলেন, খুঁটি সরানোর ব্যাপারে আমরা কোনো চিঠি পাইনি।
মুন্সিগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার এ এইচ এম মোবারক উল্ল্যা বলেন, প্রায় বছর খানেক আগে রোডস এন্ড হাইওয়ে আমাদের সাথে একটা হিসেব করেছিলো। হাতিমারা থেকে মাওয়া পর্যন্ত খুঁটি গুলো সরানোর জন্য প্রায় ১১কোটি টাকার একটা হিসাব দিয়েছিলাম। এরপরে তারা আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি।
সড়ক ও জনপদ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান খাঁন বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করার কারনে কিছু বিদ্যুতের খুঁটি সড়কের ভিতরে রয়েছে। খুঁটি সরানোর ব্যাপারে কোনো বাজেট করা হয়নি এবং খুঁটি সরানোর জায়গা না থাকায় খুঁটি গুলো সরানো সম্ভব হচ্ছেনা। পরবর্তীতে সড়কের পাশে দোকানপাট সরিয়ে খুঁটি গুলো স্থানান্তর করা হবে।