তারা দুজনই নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে ধ্বংস করার খেলা খেলছে !!!

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্টাফ রিপোর্টার: একজন লিখিত দিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছন অন্যজন নিজ থেকেই সরে গেছেন। তারা দুজনই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দলীয় মনোনয়নে করেছিলেন নির্বাচনও। ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন তাই রাজনীতি করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এমন কথাই জানানো হয়েছিলো তাদের পক্ষ থেকে। তারা দুজন হলেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মানিকজোড় কাজী মনিরুজ্জামান এবং শাহ্ আলম।

ওই দুইজন প্রকাশ্য রাজনীতি ছাড়লেও সামনের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার লোভ সংবরণ করতে পারেননি। এখনও তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যে করেই হোক দলীয় মনোনয়ন বাগাবেনই। আর সে জন্যই এই দুই ব্যবসায়ী রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দিলেও জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখার জন্য নানা কুটকৌশল বজায় রেখেছন। অবশ্য তাদের চাওয়া মতে সব কাজ করে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ। এতে করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে এখন চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
সূত্র বলছে, আগামী ২০২৩ সালে দ্বাদশ নির্বাচন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই নির্বাচনের প্রস্তুতি স্বরূপ দেশের সব কটি ইউনিটের ছোট খাটো সমস্যা মিটিয়ে, সকলকে নিয়ে শক্তিশালী কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন। সে মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে গুছানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো অ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার ও মামুন মাহমুদকে। তাদের নেতৃত্বে গঠন করা হয় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। শর্ত ছিলো তিন মাসের মধ্যে এই কমিটি সব কটি ইউনিট গঠন করে জেলা কমিটির গঠনের জন্য একটি সম্মেলন প্রস্তুত করবে। কিন্তু তিন মাস মেয়াদী এই কমিটি দীর্ঘ আট মাসেও তা করতে পারেনি।
তবে, গেল এক মাস পূর্বে ওই কমিটি পৃথক দশটি সার্চ কমিটি গঠন করে প্রতিটি ইউনিটের সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি গঠনের জন্য প্রতিবেদন করার। কিন্তু এই সার্চ কমিটি গঠন হলেও কোনো ইউনিটেরই পূর্বের কমিটি ভাঙা হয়নি। এতে করে সার্চ কমিটির দ্বারা একটি গ্রুপ অবহেলিতই থেকে যায়। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, সার্চ কমিটি যেসব সুপারিশ দিয়েছেন তার কিছুই মানেনি মামুন মাহমুদ। তিনি নিজের মত করেই সুপারিশ এবং খসড়া করেছেন নিজেদের লোকদের নেতৃত্বে আনার জন্য।
অভিযোগ রয়েছে, কাজী মনিরুজ্জামান ও শাহ্ আলম, মামুন মাহমুদকে যেভাবে, যাদেরকে নেতৃত্বে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন, মামুন সেভাবেই কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। সূত্র বলছে, কাজী মনিরুজ্জামান ও শাহ্ আলম রাজনীতির মাঠে নেই। ফলে আগামীতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া তাদের জন্য কষ্টকর। তবে, তাদের নির্বাচনী এলাকার কমিটিতে যদি নিজস্ব লোকদের নেতৃত্বে আনা যায় তাহলে তাদের মনোনয়ন পাওয়া সহজ হয়ে উঠতে পারে। সে দিক বিবেচনা করেই তারা দুজন রূপগঞ্জ, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ কমিটিতে নিজস্ব লোকদের মামুন মাহমুদের মাধ্যমে নেতৃত্বে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন।
তবে, বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে তৈমূর আলম খন্দকার, মামুন মাহমুদের অমন অগঠনতান্ত্রিক ও অনৈতিক উপায়ে কমিটি গঠনে বাধ সাধেন। পরবর্তীতে তৈমূর আলমকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে আর বাগে আনা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ফলে জেলা বিএনপির অন্তর্ভূক্ত দশটি ইউনিট কমিটি গঠন এখন পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে তৃণমূল বলছে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি একটা সময় অত্যন্ত শক্তিশালী ছিলো। কিন্তু কাজী মনিরুজ্জামান ও শাহ্ আলম বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এই দলটিকে ভাঙতে থাকেন তারা।
নিজস্ব বলয় তৈরি করতে গিয়ে মাইনাস করেন ত্যাগী নেতাকর্মীদের। সৃষ্টি হয় বিভাজন। এই বিভাজনের কারণে আজ নারায়ণগঞ্জ বিএনপি কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। বলা হচ্ছে, ওই দুজন আগামীতে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করছেন। যে কারণে দলের মধ্যে, আওয়ামী লীগের এজেন্টদের প্রবেশ করাচ্ছেন। তারা দুজনই নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে ধ্বংস করার খেলা খেলছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here