প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : nশ্রীনগরে ধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুত্র সন্তান প্রসব করে। ছাত্রী দাবী করেণ, এই সন্তানের বাবা একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র মাহিম মল্লিক। কিন্তু সন্তানের স্বীকৃতি না থাকায় ওই ছাত্রীর মা প্রসবের পরপরই পুত্র সন্তানটিকে বিক্রির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শ্রীনগর উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামের সেলিম মল্লিকের পুত্র ও নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র মাহিম মল্লিক প্রায় ৯ মাস আগে প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লে মাহিমের পরিবারের চাপে ওই ছাত্রীর মা ঘরোয়াভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে তার মেয়ের গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করে। কিন্তু পিতৃহীন ওই ছাত্রী গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় তা ব্যার্থ হয়।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী পুত্র সন্তান প্রসব করে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মাহিমের পরিবারের চাপে ওই ছাত্রী ও তার মা আত্মগোপন করে। ছাত্রীর ফুপা মোঃ ধলু মিয়া জানান, কিশোরীর মায়ের ভুলে এমন হয়েছে। তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তাতে তারা রাজি হয়নি। তিনি আরো জানান, পিতা জীবিত না থাকায় পরিবারটি অসহায়। তন্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই কিশোরীর মা আমাকে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছে।
আমি তাদেরকে আইনগত সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবী করে তিনি। সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মো. তাইফুল হক এ বিষয়ে জানান, সন্তান প্রসব করানোর জন্য রোগীর স্বজনরা বাড়িতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখানে নিয়ে আসে। প্রসূতির মূমুর্ষু অবস্থা দেখে মানবিক কারণ বিবেচনা করে তাকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়।
পুত্র সন্তান জন্মের পরে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে শিশুটিকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। এব্যাপারে কথা বলার জন্য মাহিমের বাড়িতে গেলে তাদের পরিবারের কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা জানান, এই ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।