শরীয়তপুরে জাজিরায় হঠাৎ করে ৫ ইউনিয়ন প্লাবিত, তীব্র ভাঙন আতংক

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আমান উল্ল্যাহ শরীয়তপুর সংবাদদাতা: শরীয়তপুরে সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মানদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জাজিরা উপজেলায় নদী তীরবর্তী পাঁচটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে । সেই সঙ্গে ওই সব ইউনিয়নে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নাঞ্চল ও নদীপাড়ের বাসিন্দারা।পদ্মার পানি আরও বাড়তে পারেবলে ধারনা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পাউবো ও স্থানীয়র াজানায়, পদ্মানদীর পানি নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টের পানি মাঝে একটু কমলে ও হঠাৎ করে ৩৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলা, নড়িয়ার, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় কিছু নিচু এলাকায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে কীর্তিনাশা নদীতে ও পানি বেড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চল ও নদীপাড়ের বাসিন্দা পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোত বেড়েছে নদীতে। স্রোতে জাজিরার পদ্মানদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ও কীর্তিনাশার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। নদী তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামের খাল, ডোবা ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করা হয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুন্ডেরচরে ভাঙন কবলিত ১৪২ পরিবারকে নগদ দুইহাজার টাকা ও ২০ কেজি করে খাদ্যসামগ্রী বিকরন করা হয়।খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন শরীয়তপুর জেলাপ্রশাসক মো. পারভেজহাসান। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো.আজিম উদ্দিন জানান, আমরা নিয়মিত পানি ও নদীভাঙন এলাকার মানুুষের খোঁজ-খবর রাখছি। ভাঙনকবলিত এলাকার প্রত্যেক পরিবারকে নগদ টাকা ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া দুইবান্ডিল করে ঢেউটিন দেওয়া হবে। আমাদের কাছে ৭৭ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাড়ে নয় লাখ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া এক হাজার ১৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হবে। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব বলেন, উজানের পানি নেমে আসায় জেলার আভ্যন্তরীন নদনদীসহ পদ্মারপানি বৃদ্ধি পেয়েছে।ভাংগন কবলিত এলাকায় পানিউন্নয়ন বোর্ড তাদের কাজ কর্ম অব্যাহত রেখেছে। জাজিরা নড়িয়া ভেদরগগঞ্জ ,গোসাইরহাটও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাম্পিং করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন,আমরা কুন্ডেরচর ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১৪২ পরিবারকে নগদ টাকা ও ত্রাণ সহায়তা করেছি। আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ভাঙন কবলিত মানুষের খোঁজ-খবর নিয়েছি। ভাঙন ও বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here