মুন্সীগঞ্জে কলেজের প্রভাসকের বিরুদ্ধে স্ত্রীরির অভিযোগ শিক্ষা অধিদপ্তরে

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ টঙ্গিবাড়ী উপজেলার এক কলেজ প্রভাসকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে মারধর এর অভিযোগে শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই প্রভাসকের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার বাদী হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার এ অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত ৯ ইং আগষ্ট ২০২১ ইং তারিখে একই অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মাহমুদা একটি নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত মামলাটি মুন্সীগঞ্জ সদর থানাকে এফআইআর হিসাবে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় প্রেরণ করে। এফআইআরে নাজমুল হাসানসহ তার বোন শাহিনুর বেগম, রেহেনা বেগম, আবুল কালাম আজাদ ও আজিম কাউসারী নাম উল্লেখ রয়েছে। মাহমুদা মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা রামশিং গ্রামের জাহাঙ্গির আলমের মেয়ে। মাহমুদা জানায়, বিগত ৬ মে ২০১৯ইং তারিখ তার সাথে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া গ্রামের ফজলুল হক সেখের ছেলে মো. নাজমুল হাসানের বিয়ে হয়। তার স্বামী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বোরহামগঞ্জ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হওয়ায় সে স্বামীর সাথে তার স্বামীর কর্মস্থল শিবচরে থাকতো। বিবাহের পরের ঋণের কথা বলিয়া নাজমুল বিভিন্ন সময় মাহমুদার পরিবারের কাছ হতে ৫ লক্ষ টাকা নেয়। পরে সে আরো ৩ লাখ টাকা যৌতুক হিসাবে দাবী করে গত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ইং তারিখে তার স্ত্রীকে মারধর করে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে এবং মাহমুদার বাম পা ভেঙ্গে ফেলে । পরে এই ঘটনায় মাহমুদা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর স্বামী নাজমুল ও তার পরিবার আত্নগোপনে আছে বলে জানায় মাহমুদা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাজমুল হাসান বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে গত ১৮ জুলাই ডির্ভোস দিয়ে দিয়েছি। আমার ডির্ভোস দেওয়ার পরের গত ২৫ জুলাই আমি তাকে মারধর করছি অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে একটি মুন্সীগঞ্জ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এর আগেও সে আমার পরিবারে থাকা অবস্থায় আমাকে মানষিকভাবে নির্যাতন করে। বাচ্চা নষ্টের ব্যাপারে সে জানায়, আমার বাচ্চা স্বাভাবিক নিয়মে আমার স্ত্রীর ব্লেডিং হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে। সে এর আগেও একটি বিয়ে করেছে কিনা জানতে চাইলে সে বলে আগের স্ত্রীর সাথে তার স্বাভাবিক নিয়মে ডির্ভোস হয়ে গেছে সেই ঘরে তার দুটি বাচ্চাও রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here