প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে ফের আরেকটি ফেরি ধাক্কা দিয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায়‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ নামের রো রো ফেরি পিলারটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ওই ফেরিতে থাকা ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিআইডিব্লউটিসির মেরিন অফিসার আহম্মদ আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে করে বলেন, এতে ফেরিতে থাকা দুইটি প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার বাংলাবাজার ঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে আসছিল ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর। সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত হানে।
এ সময় ফেরিতে থাকা ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই জাকির হোসেন বলেন, বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে ফেরিটি সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত হানে। এ সময় ফেরির কয়েকজন যাত্রী আহত হন। ফেরিতে থাকা একটি প্রাইভেট কার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফেরিতে লম্বা ফাটল দেখা গেছে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (সার্বিক) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমিও বিভিন্ন মাধ্যমে সেতুর সঙ্গে ফেরির ধাক্কার খবর পেয়েছি।
ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে বলতে পারব। এর আগে গত ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ‘শাহজালাল’ নামে রো রো ফেরির সংঘর্ষ হয়। এতে ফেরিটির অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হন। ঘটনার পরপরই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে বরখাস্ত করে বিআইডব্লিউটিসি। ঘটনা তদন্তে ওই দিনই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিআইডব্লিউটিসি।
তাদের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পেছনে রো রো ফেরিটির ইনচার্জ মাস্টার আব্দুর রহমান খান ও সুকানির সাইফুল ইসলামের দায়িত্বহীনতা রয়েছে। ফেরি বা অন্য কোনো জলযানের সংঘর্ষ থেকে নিরাপদে রাখতে পদ্মা সেতুর পিলারগুলো রাবার দিয়ে মোড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে ওই কমিটি।