ফরিদপুর বোয়ালমারীর তিন ইউপি চেয়ারম্যানই মামলার আসামি

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার তিন ইউপি চেয়ারম্যানকে পৃথক তিনটি ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তিন চেয়ারম্যান হলো উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা মুকুল, ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম ফারুক হোসেন।

জানা যায়, গত ২০২১ সালের ১৭ মার্চ চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামের আকমল শেখকে (৬০) রাতে দুবৃর্ত্তরা কুপিয়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় ফেলে যায়। তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আকমল শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ বাদি হয়ে ১৯ মার্চ চতুল ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক, ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সদস্য শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটুকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ১১।

গত ২০২১ সালের ২৯ মে সকালে পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের মযেনদিয়া গ্রামে মান্নান মাতুব্বর ও মাসুদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে পুলিশ আহতের ঘটনায় ২৯ মে বোয়ালমারী থানার এসআই মামুন অর রশিদ বাদি হয়ে পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের আ’লীগে সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা মুকুলকে প্রধান আসামি করে ৩৯ জনের নামে ১৪৩, ১৮৬, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ৪২৭/৩৪ পেনাল কোড। বেআইনী জনতাবদ্ধ একই উদ্দেশ্যে সরকারী কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান পূর্বক স্বেচ্ছায় আঘাত করিয়া সাধারন ও গুরুতর জখম করত: অবৈধ বল প্রয়োগ করিয়া ক্ষতি সাধন করার অপরাধে মামলা করেন।

অপরদিকে ২০১৯ সালের ১৫ জুন ঘোষপুর ইউনিয়নের চন্ডিবিলা চান মিয়া মাস্টার ও কাজী রফিউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ জুন চন্ডিবিলা গ্রামের আসাদ মোল্যা বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় বোয়ালমারী উপজেলা আ’লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ঘোষপুর ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম ফারক হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৮০ জনের নামে মামলা করেন। মামলা নম্বর ১৭। এস এম ফারুক হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত নয়। আমি সংঘর্ষের বিষয় জানি না। অথচ আমার প্রতিপক্ষ সংঘর্ষের ঘটনায় আমাকে হয়রানি করার জন্য মামলার প্রধান আসামি করেন।

নুরুল আলম মিনা মুকুল বলেন, আমার ইউনিয়নের মান্নান মাতুব্বর ও মাসুদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় আমি বোয়ালমারী আমার বাসায় ছিলাম। আমি সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে ছিলাম না। অথচ পুলিশ এ্যাসোল্ট মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে আমাকে। শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, আকমল শেখ হত্যার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কে বা কারা রাতের আধারে আকমল শেখকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। কিছু লোক রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হয়রানি করার জন্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি করেছেন। যে রাতে আকমল শেখকে দুবৃর্ত্তরা কুপিয়ে ফেলে যায় ওই দিন রাত ১২টার দিকে আমি ফরিদপুর থেকে বাড়িতে ফিরি। আমাকে মিথ্যা হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here