না’গঞ্জে রনির অনুগামীদের সঙ্গে ছাত্রদলের বিদ্রোহী কমিটির ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আহত-১০

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ শহর প্রতিনিধি:  নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের একটি অংশের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে তাদের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির বিরুদ্ধে। এতে সাগর সিদ্দিকী নামের ছাত্রদলের এক নেতা সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের মাসদাইরে জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের মজলুম মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি।

জানা গেছে, শনিবার ছাত্রদল, যুবদল ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির বৈঠক ছিল। বৈঠক চলাকালে বিকেল ৪টায় বৈঠকস্থলের বাইরে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির অনুগামীদের সঙ্গে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের বিদ্রোহী কমিটির সমন্বয়ক সাগর সিদ্দিকী ও তার লোকজনদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটে। এক পর্যায়ের রনির সঙ্গে থাকা লোকজন সাগর সিদ্দিকীর উপর হামলা করে। লাঠিসোটা, রড দিয়ে হামলায় সাগর সিদ্দিকী আহত হয়। এ সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। খবর পেয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর যুবদল নেতা রানা মুজিব দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এর আগে, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে রনির সাথে দ্বন্দ্ব তৈরী সৃষ্টি হয় জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর। পরে সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীবের। দুজনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে সাগর সিদ্দিকি থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিদ্রোহী কমিটি ঘোষণা করেন। এর আগে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের রাজনীতিতে নিজের শক্ত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও রনির সাথে দূরত্ব থাকায় থানা কমিটিতে আহবায়ক হতে পারেননি সাগর। পরে তাকে দিয়ে সজীব বিদ্রোহী কমিটি ঘোষণা করান।সেই কমিটিকে পেছন থেকে সমর্থন দেন রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।

এরই মধ্যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে জড়িয়ে বক্তব্য দেন রনি। এতে ক্ষুব্দ হন আজাদসহ তার অনুগতরা। এর আগে রনি জানান, তার ও তার ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করান রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। তবে সিনিয়র নেতারা ও ছাত্রদলের সাবেক নেতারা সেখানে উপস্থিত থাকতে এমন ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন সিনিয়ররা। এ ঘটনা যেই ঘটাক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন সকলেই।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি জানান, মূলত জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াদ চৌধুরী ও সাদেক আগে থেকে পরিকল্পনা করে এখানে লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মারতে প্রস্তুত ছিলেন। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের এ ব্যাপারে জানতে চাইতে হট্টগোল সৃষ্টি হয় আর এসময় হয়তো কোন ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে। সেই ঝামেলার মধ্যে পড়েই সাগর আহত হয়েছে। আমি ফোনে তার খবর নিয়েছি।

এ ব্যাপারে তৈমূর আলম খন্দকার জানান, বাইরে একদল উচ্ছৃঙ্খল ছেলেপেলে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেছে। এর সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের কোন সম্পর্ক নাই। বড় দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। তবে যারাই করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here