না’গঞ্জে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার চলছে দেদারছে

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গোপনে গড়ে তোলা হয়েছে নিষিদ্ধ পলিথিনের কারখানা। আর এসব কারখানা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে পলিথিন ব্যাগ। এমন এলাকা পাওয়া দুষ্কর যেখানে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নেই। এর ব্যবহার চলছে দেদারছে।

শহর কিংবা পাড়া মহল্লার মধ্যে কোনো তফাত নেই, সব জায়গায় ক্রেতারা বাজার করতে যায় খালি হাতে। আর ফিরে আসে পলিথিনের ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন। সম্প্রতি এই পলিথিনের বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালনা করেনি ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর তাই অনেকটা প্রকাশ্যেই এখন চলছে পলিথিনের ব্যবহার ও বেচাবিক্রি।

অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত অভিযান না থাকায় পলিথিনের বিক্রি ও ব্যবহার আগের তুলনায় অনেকাংশে বেড়ে গেছে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়ে জেলায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পলিথিন কারখানা। পিপি দানা থেকে রোল পলিথিন ও সেচ পাইপ প্রস্তুতের অনুমোদন নিয়ে কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করা হচ্ছে। শর্ত ভঙ্গ করার কারণে বিগত বছরগুলোতে কয়েকটি কারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এখনো গোপনে বিভিন্ন এলাকায় পলিথিন ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শহরের বাজারগুলোতেও রয়েছে বেশ কয়েকটি পাইকারি পলিথিনের দোকান। এসব দোকানে উৎপাদনকারীরাই লোক দিয়ে পলিথিন সরবরাহ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অভিজাত রেস্টুরেন্ট, মুদির দোকান, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে ফুটপাতের প্রায় সব দোকানের পণ্য বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। সহজলভ্য ও ব্যবহারে সুবিধা থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ক্ষতির দিক বিবেচনা না করে পলিথিন ব্যাগ দেদারছে ব্যবহার করছেন।

পরিবেশবিদরা বলছেন, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে শাস্তির বিধান রেখে আইন করা হলেও কমেনি পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতির কথা চিন্তা করে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। তখন বিকল্প হিসেবে কাগজ ও পাটের ব্যাগের প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীসময়ে আইনের প্রয়োগ না থাকায় পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার বেড়েছে জ্যামিতিক হারে।

নারায়ণগঞ্জে পরিবেশ ও নদী রক্ষা নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে সরব থাকা এটিএম কামাল বলেন, পলিথিন ব্যাগ বন্ধের আইন ও বিধিমালা রয়েছে। যারা এটা কার্যকর করবে তারা এটা করছে না। জেলা প্রশাসনও পলিথিনের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়। পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের যানবাহনের অভাব, লোকবলের অভাবকে খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে নিয়মিত অভিযান চালায় না। যে কারণে প্রকাশ্যে ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, মূল ব্যবসায়ীরা কৌশল পাল্টিয়ে ভ্রাম্যমাণভাবে পলিথিন উৎপাদন করছে। যে কারণে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন জায়গায় খুচরা বিক্রি করছে। সাইকেল, রিকশায় করে গোপনে গিয়ে পলিথিন বিক্রি করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here