না’গঞ্জে প্রেমিকাকে বিয়ে না করায়,প্রেমিক ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বর বেশে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যাবার কথা থাকলে ও প্রেমিকার ধর্ষণের অভিযোগ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোাবর) গায়ে হলুদের রাতের থানা পুলিশের হাতে আটক হলো লম্পট প্রেমিক ইসতিয়াক আহম্মদ (৩০)।

আর তাই বর হয়ে বর যাত্রী নিয়ে নয় প্রেমিকার দায়ের করা ধর্ষণ মামলার আসামী হয়ে আজ শুক্রবার (১৬অক্টোবর) তাকে যেতে হলো কারাগারে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দেওভোগ নাগবাড়ী এলাকায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃটি হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, দেওভোগ পশ্চিম নাগবাড়ী এলাকার মিজানুর রহমানের পুত্র ইসতিয়াকের সাথে বাদিনী তুলির চার বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার দৈহিক মিলন হয়েছিলো। চার বছর সম্পর্ক থাকার পর গোপনে প্রেমিক ইসতিয়াক অনত্র বিয়ে করতে যাচ্ছিলো। এ বিষয়টি জানতে পেরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে লম্পট প্রতারক প্রেমিক ইসতিয়াকের বিরুদ্বে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোাবর) রাতে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

পরে পুলিশ স্থানীয়বাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহোযোগিতায় ইসতিয়াককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গায়ে হলুদের আসর থেকেই তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রেমিকার অভিযোগ, চার বছর পূর্বে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে লম্পট প্রেমিক ইসতিয়াক তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে।

সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দেওভোগ নাগবাড়ীর জিকুদের চারতলা বাড়ীর তৃতীয় তলার দক্ষিণ পার্শ্বে লম্পট প্রেমিক ইসতিয়াক আহম্মেদের ভাড়া বাসায় তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে। সে বিয়ের কথা বললে ইসতিয়াক নানা টালবাহানা করে কালক্ষেপন করে অনত্র বিয়ে করার পায়তারা করে। সে চলতি মাসের ১৪ তারিখে প্রেমিক ইসতিয়াকের বিয়ে করার বিষয়টি জানতে পেরে ১৫ তারিখ ফতুল্লা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

লম্পট প্রেমিক ইসতিয়াকের দাবী, বাদিনী তুলির সাথে তার তার গত তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এ তিন বছরে প্রেমিকা তুলির নিজ বাসায় উভয়ের সম্মত্তিক্রমে দুই বার শারিরিক মেলামেশার হয়। সে এবং তার প্রেমিকা তুলি তাদের সম্পর্কের বিষয়টি তাদের বাবা- মাকে জানায়। কিন্তু বিষয়টি তার বাব-মা মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং তার অনত্র বিয়ে ঠিক করে। এ বিষয়ে সে তার প্রেমিকা তুলিকে অবগত করে। বৃহস্পতিবার ছিলো তার গায়ে হলুদ আর শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ছিলো তার বরযাত্রী।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটির অভিযোগ পেয়ে স্থানীয়বাসীর সহায়তায় ইসতিয়াককে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here