চাঁদপুরের মোস্তফা কামালের লাশ দেখতে হাসপাতালে বৃদ্ধ বাবা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ৭৫ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল করিম মিয়াজী তার বড় ছেলে মোস্তফা কামালের (৩৭) মৃত্যুর সংবাদ শুনে চাঁদপুর সদর থেকে সকালে ছুটে আসেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। তিনি বলেন আমার ছেলে কিছুদিন হলো বিয়ে করেছিল।

বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় এই অবস্থা আল্লাহ কেন করল।  শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালের অভ্যর্থনা কক্ষে বসে মোস্তফা কামালের বাবা বলেন, নারায়ণগঞ্জে টিউশনি করতেন আমার ছেলে। সদ্য বিবাহিত কামালের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের জজকোর্ট এলাকায়।

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছেন মোস্তফার। টেলিভিশনের সংবাদ দেখে বৃদ্ধ বাবা সকালে হাসপাতালে আসেন। বারবার বলতে থাকেন, আমার ছেলের লাশটা একটু দেখাও, নিহতদের লিস্টে আমার ছেলের নাম আছে। শুক্রবার রাতে মসজিদে বিস্ফোরণের কথা শুনে তার বৃদ্ধ বাবা আব্দুল করিম মিয়াজী মেজো ছেলে ইউসুফ মিয়াজীতে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় আসেন। ছেলের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ এই বাবা।

তিনি বলেন তার তিন ছেলের মধ্যে মোস্তফা কামাল সবার বড়। লকডাউনের পুরো সময়টা মোস্তফা বাড়িতেই ছিলেন। ১৫ দিন আগে তিনি ঢাকায় আসছেন। সে নারায়ণগঞ্জে টিউশনি করতো। শুনছি ছেলে মারা গেছে। ছেলের লাশটা একটু আমাকে দেখান, তাও দেখায় না। আমি এখন কি করবো, কোথায় যাবো, কার কাছে যাবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

এদিকে, হাসপাতালে একের পর এক মৃত্যুর খবরে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউট। হাসপাতালে সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে। আহতদের অধিকাংশের শরীরে ৬০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here