প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বাংলাদেশের স্বনামধন্য ফুটবলার স্ট্রাইকার আরিফ। স্বনামধন্য ক্লাবে বছরে ৬ লাখ টাকার পারিশ্রমিকের এই স্ট্রাইকার বর্তমানে ৪০০ টাকার জোগালি। তার জীবনের এই অবস্থার ভিলেন করোনাভাইরাস। স্ট্রাইকার আরিফ হাওলাদারের জীবনের করুন পরিণতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর বিষয়টি লক্ষ করেন অনেকেই। কিন্তু, সবার সেই সামর্থ্য কিংবা সহায়তার হাত বাড়ানোর মতো মানসিকতা হয়নি।
আরিফের অস্বচ্ছলতার বিষয়টি দৃষ্টিকাড়ে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি’র। জেলা মহিলা সংস্থার এই চেয়ারম্যান আরিফ হাওলাদারকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন। লিপি ওসমান জানান, বিষয়টি আমাদের জন্য শিক্ষণীয় যে আরিফ কারো কাছে হাত না পেতে বাবা বা পরিবার চালাতে জোগালির কাজ বেছে নিয়েছে। এমন সন্তান জাতির জন্য গর্বের। আজকে যেখানে বিভিন্ন স্থানে খবর পাওয়া যায় বৃদ্ধ বাবাকে কিছু সন্তানরা রাস্তায় ফেলে যাচ্ছে, সেখানে আরিফ বাবা মায়ের জন্য জোগালি করতে দ্বিধাবোধ করেনি। তাকে সম্মান জানাই।
তিনি আরও জানান, ওর জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি এটা প্রচারের জন্য নয়। আল্লাহ যেন এই অনুদানকে কবুল করেন। ইতোমধ্যে ওর জন্য এমপি শামীম ওসমান একটি ফুটবল ক্লাব যোগাড় অথবা একটি চাকরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমি সবাইকে আহ্বান জানাব এ রকম একটি ব্যক্তিত্ববান ছেলের পাশে দাঁড়াতে। এছাড়া আরিফের খবর নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু।
আরিফ জানায়, আমি বেঁচে থাকতে আমার বাবা-মা না খেয়ে থাকবে তা হতে পারে না। আমি খেঁটে খেতে চাই। আমি আমার যোগ্যতা প্রমাণ করে ফুটবলে ফিরতে চাই। আমাকে এমপি শামীম ওসমানের স্ত্রী আর্থিক অনুদান পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ফুটবলে ফিরতে চাই।
আরিফের বাবা শাহজাহান হাওলাদর জানান, জাতীয় অনুর্ধ্ব ১৩, ১৪, ১৬ কিশোর থেকেই ফুটবলে সুযোগ পেয়েছিল আরিফ। ওর যা পুঁজি ছিল আমি ব্যবসা করতে গিয়ে খুইয়ে ফেলেছি। আমি গর্বিত আমার সস্তান নিয়ে যে সে কারো কাছে হাত পাতেনি। কর্ম করে সংসারের অভাব মেটানোর চেষ্টা করছে।