তালতলীতে দুই শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

0
তালতলীতে দুই শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী ( বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলী উপজেলায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের আট দিন পর আসামি মো. মোকলেছ মোল্লা (৫৯) কে আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় গ্রেপ্তার করেছে পটুয়াখালী র‍্যাব-৮। গ্রেপ্তারের পর আসামি মোকলেছ মোল্লাকে তালতলী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনা কাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকার মৃত আলমগীর মোল্লার ছেলে মোকলেস মোল্লা (৫৯) এর বিরুদ্ধে গত ২২ অক্টোবর-২০২৫ পৃথক পৃথকভাবে তালতলী থানায় দুই ভুক্তভোগীর বাবা ও মা বাদী হয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৪ ও ৬ অক্টোবর উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকায় নয় ও দশ বছরের দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

প্রথম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ৪ অক্টোবর দুপুরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লা দশ বছরের শিশুটিকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ঘরের বারান্দায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুর বাবা ধর্ষণের বিচার চেয়ে বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। একই এলাকার অন্য মামলায় নয় বছর বয়সী শিশুটির মা অভিযোগ করেন, ৬ অক্টোবর বিকেলে তিনি স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ঔষধ কিনতে যান।

ওই সময় বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় মোকলেছ মোল্লা শিশুটির ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী ওই দুই শিশুর পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে তালতলী থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামি মোকলেস মোল্লা গা-ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে র‍্যাব-৮ এর সহায়তায় গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেতাবী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহজালাল বলেন, আসামি মোখলেস মোল্লার বিরুদ্ধে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় পটুয়াখালী র‍্যাব-৮ এর সদস্যরা তাকে বেতাগী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে তালতলী থানায় সোপর্দ করে। আসামি মোখলেস মোল্লাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়ছে। একই সাথে মামলার তদন্তের স্বার্থে ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে আদালতের নিকট রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here