তালতলীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ‘ধর্ম মেয়ে’ বানিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

0
তালতলীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ‘ধর্ম মেয়ে’ বানিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে এক গৃহবধূকে ‘ধর্ম মেয়ে’ বানিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য খলিল হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে খলিল হাওলাদারের অনুসারীদের দ্বারা ওই গৃহবধূ, তার স্বামী ও শাশুড়িকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর গৃহবধূ ও তার স্বামী থানায় মামলা করতে আসেন। এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য খলিল হাওলাদারের মেয়ের নামের সাথে পার্শ্ববর্তী এক গৃহবধূর নাম মিল হওয়ায় তার সাথে ‘ধর্ম মেয়ে’ হিসেবে আত্মীয়তা পাতান।

পরে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ম মেয়ে হিসেবে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং গৃহবধূর বিশ্বাস অর্জন করেন। সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় রাত আনুমানিক ৯টার দিকে খলিল হাওলাদার গৃহবধূর বাড়িতে প্রবেশ করেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে তিনি জোরপূর্বক ওই গৃহবধূর কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন।

সে ডাক চিৎকার করলে পাশের বাড়ি থেকে তার শাশুড়ি আসলে খলিল হাওলাদার দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে তার স্বামী বাড়ি আসলে তাকে পুরো কথাটি খুলে বলেন। তারা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানোর পরেও অভিযুক্ত খলিল হাওলাদার স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জানানোর পর তাদের কাছে গৃহবধূ বক্তব্য দিলে খলিল হাওলাদারের অনুসারীরা স্বামী ও শাশুড়িকে মারধর করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

গৃহবধূর স্বামী বলেন, “খলিল হাওলাদারের নির্দেশে তার অনুসারীরা ২০ অক্টোবর রাতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমরা গুরুতর আহত হই। ধর্ষণ ও মারধরের বিচারের দাবিতে থানায় মামলা করতে যাচ্ছি। ”নলবুনিয়া গ্রামের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “খলিল মেম্বার আগে থেকেই এলাকায় প্রভাবশালী। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। এই ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

”এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য খলিল হাওলাদার বলেন আমার বিষয়গুলো ষড়যন্ত্র করতেছে । আমি এরকম কোন কাজ করিনি। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, “ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করতে থানায় এসেছেন। অভিযোগ নিয়ে তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here