0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী খেয়াঘাটের ইজারা ঘুষ না দেওয়ায় বাতিল করা হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন ইজারাদার ও বিএনপি নেতা হাসান আলী। তিনি এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।হাসান আলীর অভিযোগ, তিনি সরকার নির্ধারিত নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ঘাটটির ইজারা লাভ করেন এবং নির্ধারিত রাজস্ব পরিশোধ করেন। এরপর চুক্তিপত্র সম্পাদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দেওয়ায় ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং নতুন ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করলে, ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে হাইকোর্ট ইজারা সংক্রান্ত ইউএনও’র সকল কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, ইউএনও সেই আদেশ অমান্য করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ইজারাদারকে হয়রানির হুমকি দিচ্ছেন। হাসান আলীর আরও দাবি, ইউএনও স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন এবং তার পৃষ্ঠপোষকতায় জনসাধারণ সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়ছে। নিজের প্রভাব খাটিয়ে ইউএনও বলেন, ‘আমি ড. ইউনুসের লোক, কাউকে পরোয়া করি না।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী। তিনি বলেন ইজারাদার ইজারা শর্ত লঙ্ঘন করে ঘাট ভাড়া দিয়ে সাফ হিসাব করায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর নিয়ম মেনে ইজারা বাতিল করা হয়। হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার আগেই নতুন ইজারা দেওয়া হয়েছিল। ঘুষ দাবি সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here