সুনামগঞ্জে সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন টিমের উদ্যোগে শ্মশান ঘাটে পরিচ্ছন্নতা, বৃক্ষরোপণ

0
সুনামগঞ্জে সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন টিমের উদ্যোগে শ্মশান ঘাটে পরিচ্ছন্নতা, বৃক্ষরোপণ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা টিমের উদ্যোগে সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শ্মশান ঘাটে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী পরিবেশ সচেতনতামূলক কর্মসূচি। শুক্রবার বিকেলে শুরু হওয়া এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল—পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, ফুল গাছের চারা রোপণ এবং ডাস্টবিন স্থাপন।

ফাউন্ডেশনের সদস্যরা সকাল থেকেই শ্মশান ঘাটের বিভিন্ন স্থানে ঝাড়ু দেন ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করেন। পরে শ্মশান চত্বরে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছের চারা রোপণ করা হয়, যা ভবিষ্যতে পরিবেশে সৌন্দর্য ও শান্তির বার্তা বয়ে আনবে। এছাড়াও, সেখানে আগত লোকজনের ব্যবহারের জন্য ডাস্টবিন স্থাপন করা হয় যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শ্মশান পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা সুজিত দাস, এলাকার একজন প্রবীণ মুরব্বি যতীন্দ্র মোহন তালুকদার, ফাউন্ডেশনের সুনামগঞ্জ জেলা টিমের সিনিয়র সদস্য অরুণ বৈদ্য অপু, টিম লিডার দুর্জয় দত্ত পুরকায়স্থ, সদস্য মিঠুন তালুকদার, লিকছন বর্মন, সুব্রত বর্মন, সাগর দাশ, সেবক দাশ, অমি দাস গুপ্ত, স্বপ্নীল চৌধুরী, নীরব বর্মন, সুযিত বর্মন সহ অনেকেই।

সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা টিমের টিম লিডার দুর্জয় দত্ত পুরকায়স্থ বলেন, “পরিচ্ছন্নতা আমাদের ধর্মীয় এবং সামাজিক দায়িত্ব। শ্মশান ঘাটের মতো পবিত্র স্থান পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। আমরা চাই, এ ধরণের জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক।” সংগঠনের এক সিনিয়র সদস্য অরুণ বৈদ্য অপু বলেন, “পরিবেশ রক্ষা এবং ধর্মীয় স্থানের মর্যাদা রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এই কর্মসূচি তারই অংশ।

ভবিষ্যতেও আমরা এরকম সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই।” কেন্দ্রীয় শ্মশান পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা সুজিত দাশ বলেন “সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা টিমের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। শ্মশান ঘাট আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই ধরনের স্থানগুলো অনেক সময়ই অবহেলিত থাকে। আজকে যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ফুলের চারা রোপণ ও ডাস্টবিন স্হাপন হয়েছে—তা শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয়, বরং মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

আমি শ্মশান পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এই মহতী উদ্যোগে যুক্ত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।” এলাকার একজন প্রবীণ মুরব্বি যতীন্দ্র মোহন তালুকদার বলেন, এটি শুধু একটি সেবা নয়, এটি একটি ধর্মীয় কর্তব্যও বটে। নতুন প্রজন্মকে এরকম কাজে অংশ নিতে দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। ফাউন্ডেশনকে এ ধরণের মহৎ উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here