প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুঃ আঃ মোতালিব, বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিয়ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সিএইচসিপি’র কর্মীরা। অথচ সেই সেবাদাতাদের বেতন আজ ১০ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। এতে সিএইচসিপি-২০২২ ব্যাচের ৬৬৫ পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।
জানা গেছে, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি ২০২২ ব্যাচের কর্মীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তাদের নিয়োগ যথাযথভাবে ট্রাস্টে হলেও ২০২২ সালের নিয়োগকৃতদের ট্রাস্টে ন্যস্ত করা হয়নি। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ২০২২ ব্যাচের কর্মীরা তাদের ট্রাস্টে ন্যস্ত করার দাবীতে গত মাসের ১১ এপ্রিল থেকে রাজধানীর মহাখালী বিএমআরসি ভবনের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল।
প্রায় সপ্তাহ খানেক তাদের এ অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের আশ^াসের ভিত্তিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। মানববন্ধন থেকে বলা হয়েছিল, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত বৈষম্যের শিকার সিএইচসিপি-২০২২ ব্যাচের ৬৬৫ জন কর্মী। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমরা ৬৬৫ জন কর্মী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা প্রতিনিয়ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে।
দেশের জনগোষ্ঠীর ৫টি মৌলিক অধিকারের গুরুত্বপূর্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সিএইচসিপি’র ৬৬৫ জন কর্মীরা ১০ মাস যাবত বেতন না পেয়ে অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছে।তাদের দাবী গত ঈদের আগ মুহুর্তে মার্চ-২৫ মাসের শেষের দিকে তাদের মধ্য থেকে ১৩ হাজার ২৮৯ জন সাড়ে ৩ মাসের বেতন-বোনাস পেলেও অদ্যাবদি ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৬৫ জন সিএইচসিপি কর্মীরা এখন পর্যন্ত বেতন পায়নি।
দীর্ঘ সাড়ে ১০ মাস যাবত বেতন না পাওয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে। বেতন না পাওয়ায় এবারের ঈদের আনন্দ থেকেও বঞ্চিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। সিএইচসিপি কর্মীরা জানান, কর্তৃপক্ষ ২০১১, ২০১৫, ২০১৮ ও ২০২২ সালে চার ধাপে জনবল নিয়োগ করে। বর্তমানে ট্রাস্টের সাংগঠনিক কাঠামোতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাজস্বখাতে অস্থায়ীভাবে ১৩ হাজার ৯৪৯টি পদ সৃজিত রয়েছে।
সৃজিত সব পদের বিপরীতে অর্থ মন্ত্রণালয় বেতনের জন্য অর্থ বরাদ্ধ দিয়েছে। কিন্তু তারপরও কর্তৃপক্ষ ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৮ সালের নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দিলেও ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেয়নি। এতে তাদের সাথে চরম বৈষম্য করা হয়েছে। তখন ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৮ সালের নিয়োগকৃতদের বেতন প্রদানের পরও কর্তৃপক্ষের কাছে প্রায় ৬৫০টি পদের অধিক পদের জন্য বেতন প্রদানের সুযোগ ছিল।
কর্তৃপক্ষ কিছু কর্মীকে স্থায়ীকরণ করে এবং কিছু কর্মীকে প্রকল্পে স্থানান্তারের যে দ্বৈত নীতির প্রণয়ন করে তা ২০২২ সালের নিয়োগপ্রাপ্তদের সাথে বৈষম্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তাদের দাবিগুলো হলো-
১। ট্রাস্টের সাংগঠনিক কাঠামোতে সৃজিত সব পদে কর্মী ন্যস্তকরণপূর্বক চাকরি স্থায়ী ও শীঘ্রই পদায়নের চিঠি করতে হবে। ২। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১৮ এর ২৪(৩) ধারার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৩। অনতিবিলম্বে তাদের বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে।





