প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে নলবুনিয়া বিটে ওয়াচার হিসেবে কর্মরত জাহাঙ্গীর মিয়া প্রকাশ্যে গাছ কাটার ৪০ দিন পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বন বিভাগ। বন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বন প্রহরীদের সাথে জাহাঙ্গীর মিয়ার সম্পর্ক থাকার কারনে প্রকাশ্যে বনের গাছ কাটায় সংশ্লিষ্টরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি, জাহাঙ্গীর মিয়ার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে বন থেকে গাছ পাচার করছেন একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্রের সাথে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত। এজন্য তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বন বিভাগ। জানা যায়, টেংরাগিরি বনাঞ্চলটি সুন্দরবনের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল। বনটি বরগুনার তালতলী থেকে কুয়াকাটার আন্ধার মানিক নদীর পার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বনাঞ্চলের আয়তন ১৩ হাজার ৬৪৪ একর।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শ্বাসমূলীয় বন স্থানীয়ভাবে ফাতরার বন নামে পরিচিত।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নলবুনিয়া বিটের আওতায়ধীন শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত তীরে ১৫-২০ টি গাছ কাটা অবস্থায় দেখা যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। গত ২৮ জানুয়ারী পাচারের উদ্দ্যেশে বন থেকে প্রকাশ্যে গাছগুলো কাটেন জাহাঙ্গীর মিয়া। গাছ কাটার বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে তারা বনবিভাগকে অবহিত করেন।
স্থানীয়রা জিজ্ঞাসা করলে জাহাঙ্গীর বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার জন্য বনের জমি নিজের জমি বলে দাবি করে বলেন, আমার জমির গাছ আমি কেটেছি। এবিষয়ে গত ৩মার্চ যুগান্তরের ১২ পৃষ্ঠায়“তালতলীতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল লুটপাট করে বানিজ্য” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। বন থেকে জাহাঙ্গীরের গাছ কাটার বিষয়ে তখন নলবুনিয়া বিট কর্মকর্তা মো. শাওন বলেছিলেন, জাহাঙ্গীর ওই জমির মালিকানা দাবি করে গাছ কেটেছে।
আমরা বন বিভাগের পক্ষ থেকে গাছ জব্দ করেছি। এবিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। অথচ গাছ কাটার ৪০ দিন পার হলেও যেই জায়গার গাছ সেই জায়গাই রয়েছে। ৪০ দিন পর আজও বিট কর্মকর্তা মো. শাওন একই কথা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, এ বিষয়ে বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।