প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জিয়াউর রহমান জিয়া, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)সংবাদদাতা ঃ দেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের সীমান্তবর্তী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা। এই উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এই উপজেলার ২০৬টি গ্রামে ৪ লাখের অধিক মানুষের বসবাস। এই বিশাল জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা সদরে মাত্র একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। জনবল সংঙ্কটের পাশা-পাশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে নানান সমস্যা।
ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ উপজেলার সাধারণ মানুষ । উপজেলা সদর থেকে সীমান্ত প্রায় ৪০কিলোমিটার ওই সকল সীমান্ত এল্কাা থেকে একটু জটিল রোগী আসলেই সাথে সাথে তাকে যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতাল সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দূর্ভোগের শেষ থাকে না। এ ছাড়াও মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংঙ্কটের কারণে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। যার ফলে স্বাস্থ কমপ্লে´টিতে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়াই জনসাধারণের দূর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এ ছাড়া স্বাস্থ কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারের ঘাপলা, রোগীদের নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ, ব্যবহার অযোগ্য টয়লেট, নিম্নমানের ঔষধ সরবরাহ ও বহিরাগতদের দৌরাত্ম বৃদ্ধির অভিযোগ রয়েছে। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন ডাক্তারের বিপরীতে সেবা দিচ্ছেন মাত্র ৬ জন ডাক্তার। কিন্তু অধিকাংশ সময় ডাক্তার গণ প্্রাইভেট হাসপাতালে ব্যস্ত থাকায় তাদের কে চেম্বারে পাওয়া যায় না। ৫ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর পদ থাকলেও একজনও নেই। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে ৩ জনের মধ্যে ২জন আছে।
স্বাস্থ পরিদর্শক ৩ জনের মধ্যে ১ জন আছে,সহ-স্বাস্থ পরিদর্শক ৯ জনের মধ্যে আছে ৬ জন,আয়া আছে ২ জনের মধ্যে ১ জন, নার্স ৩৩ ঁজনের মধ্যে আছে ৩১ জন । ভুক্তভোগী রোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, রোগী নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সলে আসলে কাঙ্খিত সেবা পাওয়া যায় না,সাথে আছে নার্সদের দূরব্যবহার। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হেদায়েত বিন মোহাম্মদ সেতু জানান, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সংঙ্কট রয়েছে। বছর মেয়াদে এসব লোক নেওয়া হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ায় জনবল সংঙ্কট দেখা দিয়েছে।
তবে এ মাসের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। পরিস্কার পরিছন্নতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন পাশে কপোতাক্ষ নদ খনন করায় মাটিপড়ে ড্রেন গুলো বন্ধ হয়ে গেছে যে কারণে হাসপাতালের নোংরা পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। চাহিদা মত ঔষধ সরবরাহ না থাকার অযুহাতে সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হওয়ার কথা জানান। এছাড়া উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভৈরবাতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ কমপ্লেক্স নির্মান সম্পর্ণ হলেও অদ্যবধি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম শুরু হয়নি।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ মিথিলা ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) জানান,ডাক্তারের স্বল্পতা সারাদেশে। যার কারণে এ জেলায় প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। গত কালও আমরা ভারচুয়াল মিটিং করে উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের সাথে ডাক্তার ও লোকবল সংকটের কথা জানিয়েছি । অচিরেই এই সমস্যা সমাধান হবে বলে আসা করছি।