প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁদপুর: ভয়াল. সেই ১৯ ফেব্রুয়ারি! মতলব বাসীর জন্য দুঃসংবাদ ছিল। মতলবে প্রতিটি ঘরে ঘরে ছিল কান্নার রোল। দুঃসহ এ দিনটির কথা মতলববাসী কখনো ভূলতে পারবে না। ২০০৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা মতলবগামী এমভি মহারাজ লঞ্চটি প্রায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে রওনা হলে নারায়নগঞ্জের পাগলা এলাকায় আসার পর লঞ্চটি ভয়াবহ ঝড়ের কবলে পড়ে।
মুহুর্তের মধ্যে লঞ্চটি উল্টে গিয়ে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এতে লঞ্চে থাকা প্রায় দু’শতাধিক বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষ প্রাণ হারায়। লঞ্চটিতে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তর উপজেলার যাত্রী ছাড়াও চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ভোলাসহ বিভিন্ন উপজেলার যাত্রী ছিল। লঞ্চ দূর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের কান্না আজও থামেনি। মতলববাসীর জন্য আজকের দিনটি হচ্ছে শোকাহত এক অবিস্মরণীয় দিন।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছে তাঁদের মধ্যে ছিলন মতলব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই মাস্টার, নারায়নপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, তার কন্যা মতলব কঁচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী শিলাত জাহান অর্থি, আইসিডিডিআরবির চিকিৎসক মোঃ মাসুম, মতলব বাজারের সার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মৃধা, ডেফোডিল ইউনির্ভাসিটির কর্মকর্তা ফারুক দেওয়ান স্বপরিবারে, দশপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলম, বাইশপুর গ্রামের ছোট খোকন ও বড় খোকন, মতলব উত্তরের বারহাতিয়া গ্রামের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী শাহআলম সহ নাম জানা অজানা অনেকে।
উদ্ধারকৃত লাশগুলো তখন মতলব দক্ষিণ থানার সামনে সারিবদ্ধ ভাবে তাবু টানিয়ে রাখা হয়েছিল। লাশের স্বজনদের আহাজারিতে পুরো মতলবে শোকের মাতম সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ লাশের মুখমন্ডল ও শরীর গলে যাওয়ায় তাদের চিনতে আত্মীয় স্বজনদের হিমশিম খেতে হয়েছিল। লাশের পরনে থাকা পোশাক এবং জন্মগত চিহ্ন দেখে স্বজনরা অনেক লাশ সনাক্ত করেছে। আর যে সকল লাশের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি তাদের ছবি তুলে তাদের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে ঢাকিরগাঁও রিয়াজুল জান্নাত কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কামরুজ্জামান হারুন





