প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপে গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হওয়ার ৫ দিন পর ডাকাত বাহিনীর প্রধান জহিরুল ইসলাম কানা জহিরকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানায় এ মামলা করেন নিহত রাসেল ফকিরের মা আনোয়ারা বেগম।
চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার এসআই রবিউল হক জানান, নৌ-ডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও ১২-১৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। নিহত রাসেল ফকির জেলা সদরের আধারা ইউনিয়নের ভাষানচর গ্রামের কামাল ফকিরের ছেলে। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাজে বাঁধা, গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে শীর্ষ ডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরসহ ১৪ জনের নামে পৃথক দু’টি মামলা করা হয়।
সদর উপজেলার চরআব্দুল্লাহ নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সদর উপজেলার কালীরচর গ্রামে পুলিশ ও মেঘনার নৌ-ডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহির বাহিনীর মধ্যে এ গুলিবিনিময় হয়। গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে ডাকাতদল পালিয়ে গেলে ১১ টি ককটেল, ১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১ টি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার ও ডাকাত দলের ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট জব্দ করে পুলিশ ।
এছাড়াও, গত ৩১ জানুয়ারি আধারা ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা নারী পিংকিকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মেঘনার শীর্ষ জলদস্যু কানা জহিরকে আসামি করে ৫ জনের নামে মামলা করা হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা মামলার বাদী হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী শাহনাজ বেগম পিংকির স্বামী সম্রাট বেপারী। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনায় উত্তোলিত চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নৌপুলিশ ও কানা জহির গংয়ের দুইপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়কালে দুইটি হত্যার ঘটনা ঘটে। সীমানা জটিলতার কারণে হত্যাকান্ডের পাঁচদিন পর চাঁদপুর জেলার মতলব থানায় মামলা হল।
এদিকে, মেঘনার শীর্ষ ডাকাত কানা জহির ও তার গ্রুপের ডাকাত সদস্যরা রয়েছে পুলিশের ধরা ছোয়ার বাইরে। কানা জহিরের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ ২৭ টি মামলা রয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদর, গজারিয়া ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন থানায়।