প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর(ঝিনাইদহ)সংবাদদাতা: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের পোড়াপাড়া সরকারী বাওড়ের জমি দখল নিতে পুলিশ দিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ও পোড়াপাড়া বাওড় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এ বাওড়টি ইফাদ প্রকল্পের আওতায় ৩টি মৌজাই ৯১ হেক্টর সরকারী বাওড়ে মৎস্য জীবিরা সমিতির মাধ্যমে মাছ চাষা করে আসছে দির্ঘ দিন ধরে। এর মধ্যে জে এল ৬৩ কাকিলাডাঙ্গা মৌজার ৪০ একর ৯৫ শতক বাওড়ের জমির মধ্যে ১ একর ৬৬ শতক জমি মোমিনুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ধানি জমি বলে হাল রেকর্ড করে জমি দখল নিতে যায়।
কিন্তু ২৫ ও ৬২ সালের রেকর্ড সরকারের বাওড় হিসাবে অন্তভুক্ত থাকায় তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শরীফ শাওন সরেজমিনে তদন্ত করে জলাকর ভূমি থাকায় ধানি হিসাবে মোমিনুল সেই জমির কেচ খারিজ করে দেয়। এর পর মোমিনুল ইসলাম তৎকালীন শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া এমপি সালাউদ্দিন মিয়াজি এর কাছে জমি উদ্ধারের অভিযোগ করলে তিনি স্বরুপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাওড়ের সদস্যদেও ডেকে নিজ অফিসে বসে শালিস বিচার বসান ।
সেখানে মোমিনুল ইসলামকে জাল জালিয়ালিয়াতি করে সরকারী বাওড় এর জমি ধানি বলে রেকর্ড করার তিব্র সমালোচনা করে বিচার মজলিস তেকে বের করে দেন। ৫আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের পর গত ১০দিন পূর্বে পূণরায় এই জমি দখলে নেওয়ার জন্য মহেশপুর থানায় পোড়াপাড়া বাওড়ের সভাপতি ওমেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) অভিযোগটি পাওয়ার পর পুলিশ দিয়ে শালিসের নামে তাকে থানায় ডেকে নিয়ে জমি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এবং বলেন ২দিনের মধ্যে জমি ছেড়ে না দিলে চাঁদা বাজির মামলা দিয়ে হাজতে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে
। পোড়াপাড়া বাওড়ের সভাপতি ওমেদুল ইসলাম জানান, ১একর ৬৬শতক সরকারী জমি জাল জালিয়াতি করে কাকিলাডাঙ্গা গ্রামের মোমিনুল নামের এক ব্যক্তি হাল রেকর্ড ধানি বলে করে নিয়ে এসে জমি দখল করতে চায় । কিন্তু সেখানে জলাশয় । পরে আমাদের বিরুদ্ধে অনেক জায়গায় মামলা দিলে সেখানে সরকারের জমি সরকারের নামেই থাকে। ১০দিন পূর্বে মহেশপুর থানা থেকে পুলিশ এসে বলে আপনাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ আছে ওসি স্যার যেতে বলেছে।
এই সংবাদ জানার পর আমিসহ বাওড়ের সেক্রেটারী আব্দুল হাকিম ও ক্যাশিয়ার শিরাজুল ইসলাম থানায় গেলে ওসির রুমে ডেকে নিয়ে আমাদের কোন কথা না শুনে ওসি ফয়েজ আহম্মেদ বলেন মোমিনুলের জমি ২দিনের মধ্যে ছেড়ে দিতে। না দিলে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। আমি ওসি কে কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তিনি কোন কাগজ দেখবেন না বলে জানান। এবং আমাদের মুচলেকায় স্বাক্ষর দিতে বললে আমরা চলে আসি।
আমরা বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতাই ভুগছি। পান্তাপাড়া ইউনিয়ের উপ সহকারী কমিশনার ভূমি গোলাম মোস্তাফার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারী বাওড়ের জমি মোমিনুল কি ভাবে রেকর্ড করলেন সে ব্যাপারে আমরা আদালতে একটি মামলা করেছি। আদালতে মামলা থাকাকালীন কোন বিষয় নিয়ে কেউ হুমকি দিতে পারেন না এটা তো সরকারী সম্পত্তি।
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়েজ আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বাওড়টি একটি এনজিওর ছিলো তারা সেখান থেকে চলে গেলে এসিল্যান্ড মোমিনুলের জমি মার্ক করে দিয়েছে । সেই এসিল্যান্ড বদলি হয়ে গেলে বাওড়ের লোকজন সেই জমি থেকে তাকে উচ্ছেদ করে এবং তার কাছে চাঁদাদাবী করলে আমার কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেছে ।