প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁদপুর : মতলব উত্তরের পশ্চিম সুজাতপুর গ্রামের আইয়ুব আলী প্রধানের মেয়ে এসিডদগ্ধ মিলি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) ৩০ডিসেম্বর সোমবার বিকেল ৪.১২ মিনিটে ১০ মাস ৫ দিন পর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন এসিডদগ্ধ মিলির মা রাশেদা বেগম। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম সুজাতপুর গ্রামের আয়ুব আলীর মেয়ে মিলি আক্তারকে পাশ্ববর্তী মমরুজকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলাম মানিক প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো।পরে মিলি আক্তারের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলেও মানিক ক্ষান্ত হয়নি। এদিকে বিয়ের পর মিলির স্বামী বিদেশ থাকায় বাপের বাড়িতে থাকতো মিলি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রাত ৯ ঘটিকায় সময় সফিকুল ইসলাম মানিক ও মমরুজকান্দি গ্রামের শাহজাহানের ছেলে জাহিদ মিলে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে মিলির মুখ, বুক, পিঠ ও হাত ঝলসে যায় এবং মা রাশেদা বেগমের হাত ও উরু ঝলসে যায়।পরে তাদের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে দিলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিকসার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মিলির বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে সফিকুল ইসলাম মানিক ও জাহিদকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় মামলা করে।
এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভূক্ত দুই আসামিকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে। আসামীরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এসিড নিক্ষেপ করার সত্যতা স্বীকার করেন।সোমবার ৩০ ডিসেম্বর বিকেল সোয়া চারটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিলি আক্তারের মৃত্যু বরন কর। মিলি আক্তারের পিতা আইয়ুব আলী প্রধান জানান, যারা আমার মেয়ে মিলি আক্তার কে এসিড নিক্ষেপ করে মেরে ফেলেছে আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করছি।
মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শফিকুল ইসলাম মানিক এবং তাঁর সহযোগী এসিড নিক্ষেপকারী জাহিদকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা দু’জনই চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পশ্চিম সুজাতপুর এলাকায় দৃর্বত্তদের দেওয়া এসিডে দগ্ধ হন গৃহবধু মিলি ও তার মা রাশেদা বেগম তাঁর ৭ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে।