প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র ডাল
পাচার ঘটনায় তদন্ত ২সপ্তাহেও সম্পন্ন হয়নি। দীর্ঘ ১৫ দিনেও তদন্ত কমিটির নাম জানা যায়নি। তদন্ত কমিটিতে কে বা কারা রয়েছে তাও গোপন রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ দিকে দুর্ণীতি আড়াল করতে লাখ টাকার লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে ডিলারের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নে গত ৭ ডিসেম্বর টিসিবির পন্য বিতরন করছিল মেসার্স আসিফ ট্রেডার্স এর স্বত্ত্বাধিকারী ডিলার। ওই দিন রাতে অটোবোরাকে টিসিবি’র পন্য পাচার হচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় জনতা টের পেয়ে উপজেলা শহরের হাই স্কুল সড়ক থেকে একটি অটোবোরাক ৪ বস্তা ডালসহ আটক করে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ট্যাগ অফিসার উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা এসে ওই ৪ বস্তা (২০০ কেজি) ডাল জব্দ করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পাচারকারী, ড্রাইভার ও অটোবোরাক ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এদিকে টিসিবি’র একাধিক কার্ডধারী জানান, টিসিবি’র পন্য পাওয়ার কার্ড থাকলেও কবে বিতরন করেন তা কার্ডধারীরা জানেন না। বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত তারা এ টিসিবির পন্য নেয়নি।
পন্য বিতরনের প্রচার না করে বিতরন করলে থেকে যাওয়া মালামাল এভাবে চোরাই পথে বিক্রি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যাক্ষদর্শী জানান, টিসিবি’র ডাল পাচারের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরপরই সংশ্লিষ্ট ডিলার এসে
আটককারী ব্যাক্তিবর্গ ও প্রশাসন ম্যানেজের জন্য নেতাদের মাধ্যমে লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। যার কারনে পাচারকারী, ড্রাইভার ও অটোবোরাক ধরা ছোয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
টিসিবি’র পন্য বিতরনকারী ট্যাগ অফিসার উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ নজির আহমেদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে পাচার কালে স্থানীয়দের হাতে আটককৃত ৪ বস্তা ডাল উপজেলানির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বিতরন করা হয়েছে। তবে পন্য পাচারের তদন্ত সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, জনতার হাতে আটককৃত ৪ বস্তা ডাল উদ্ধারের পর ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে বিতরন করা হয়েছে। পাচারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
“২/৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা। এতো দিনেও কেন রিপোর্ট আসেনি ব্যাপারটি দেখছি”। তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি, ড্রাইভার ও অটোবোরাকের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।