প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে অসুস্থ হাফেজ আমীরকে অপবাদ দিয়ে গণপিটুনি দিলে গুরুতর অবস্থায় বৃহস্পতিবার ঢাকার পিজি হাসপাতালে মারা যান। জানা গেছে, উপজেলার কাজিরখাল গ্রামের সেকান্দার আলী ঘরামী ও সিদ্দিক ঘরামী গংদের সাথে হাফেজ আমীর হোসেন খানের মধ্যে চলতি বছরের গত জুন মাসের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জের ধরে কয়েক দফায় মারধর হয়েছে।
গত ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে কাজিরখাল চৌরাস্তায় বসে হঠাৎ হাফেজ আমীর খান অসুস্থ হয়ে পরলে স্থানীয় জয়নাল মেম্বরের ছোটভাই ছোবাহান মৃধা তাকে তার বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছিল পথিমধ্যে বেশী অসুস্থ হলে রাস্তার পাশেই এক বিধবা মহিলার বাড়ীতে নিয়ে ওঠে। সেকান্দার আলী ঘরামী ও সিদ্দিক ঘরামী গংরা টের পেয়ে নির্বাচনী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লাঠিছোটা ও দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা নিয়ে বিধবার বাড়ীতে আসায় অপবাদ দিয়ে বেধরক মারধর করে।
মারধরের এক পর্যায় মেম্বরের ভাই ছোবাহান মৃধা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাফেজ আমীরের স্ত্রী মমতাজ বেগম ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও বেধরক মারধর করে। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে তালতলী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাফেজ আমীর খান (৪২) মারা যান। শুক্রবার হাফেজ আমীরের ছেলে আবু বকর বাদী হয়ে ১২জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
যার নং-১৭। মামলার আসামী সেকান্দার আলী ঘরামীর পুত্র সাইফুল ইসলাম (২২ কে পুলিশ গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম খান জানান, হাফেজ আমীরকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামী সাইফুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।