প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা সংবাদদাতা: পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভায় সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় সমন্বয়করা পুনরায় মতবিনিময় সভা করেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত পিরোজপুরের সমন্বয়ক রেদওয়ানুল ইসলাম ও ইমরান হোসেন নামে দুইজনকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, সোমবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।
এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে আব্দুল হান্নান মাসুদ, সানজানা আফিফা অদিতি, এস এম সাঈদ, হাসিবুল হাসান শান্ত, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, জিহাদ হোসেন, শাহিদুল ইসলাম শাহিদ, ফারিয়া সুলতানা লিজা যোগদান করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পিরোজপুরের জেলা শাখার কমিটি নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়।
পিরোজপুরে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহরিয়ার আমীন সাগর ও মুসাব্বির মাহমুদ সানি নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করলে তাদের মেনে নেননি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পিরোজপুরের সমন্বয়ক রেদওয়ানুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ওই মতবিনিময় সভায় হামলা করে। এতে তিনিসহ কয়েকজন আহত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পিরোজপুরের সমন্বয়ক আসমা আক্তার মিতু বলেন, ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার আমিন সাগর ও মুসাব্বির মাহামুদ সানি শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু আন্দোলনের শেষে তারা যোগ দিয়ে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। সোমবারের হামলায় সাগর ও সানি এবং তাদের লোকজন সরাসরি জড়িত। এ বিষয়ে শাহরিয়ার আমিন সাগর বলেন, আজকের বিশৃঙ্খলা কোনো গ্রুপের মধ্যে হয়নি। ছাত্রদের মধ্যে কোনো গ্রুপ নেই।
একটি সংগঠনের কিছু লোক আজকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক কমিটি নেই। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, আমি ৯১টি গুলি শরীরে নিয়ে এক দফা ঘোষণা করেছি। যে অন্যের মতামত গ্রহণ করতে পারবে না, সে-ই ফ্যাসিস্ট। আমাদের আন্দোলন ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে।
৬৯, ৭১, ৯১-এর গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু ২০২৪-এর আন্দোলন ব্যর্থ হতে দেব না। প্রয়োজনে আমরা আবার আন্দোলনে নামব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেতরে কোনো গ্রুপ বা ভেদাভেদ থাকবে না। কেউ বৈষম্য সৃষ্টি করতে চাইলে তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। নিজেরা সভায় বসা নিয়ে হাতাহাতি করেছে বলে শুনেছি।