প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে জিম্মায় রাখা চোরাই ট্রলার টাকার বিনিময়ে
ছেড়ে না দেওয়ায় ইউপি সদস্য জামাল খানকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে মারধরের পরে আহত ইউপি সদস্যকে চিকিৎসা করতে না দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ইউএনও রবিবার বেলা ১ টার দিকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়ীয়ার মরা নিদ্রা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, লক্ষি পরিবহন নামের একটি স্টিলবডি (ট্রলার) স্থানীয় সোহাগ আকন, বেলাল ও ইব্রাহিমসহ কয়েকজন মিলে চুরি করে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নিদ্রা স্লুইজঘাট খালে নোঙর করে পালিয়ে যায়। পরে জাফর দফাদার ট্রলারটি দেখতে পেয়ে নিশানবাড়ীয়া ইউপি সদস্য জামাল খানকে জানালে তিনি প্রশাসনের নির্দেশে ট্রলারটি তার জিম্মায় রাখেন।
এই খবর পেয়ে তালতলী থেকে দুইজন সাংবাদিক ও নামধারী কয়েকজন বিএনপি সর্মথক জাফর দফাদার ও বশিরের নেতৃত্বে ২৫-৩০জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আনুমানিক রাত ১ টার দিকে ইউপি সদস্য জামাল খানকে ঘুম থেকে উঠিয়ে খালের পাড়ে ট্রলারের কাছে এনে চোরাই ট্রলারটি নেওয়ার জন্য অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এতে সে রাজি না হলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ইউপি সদস্য বাধা দিলে তাকে বেধরক মারধর করে বিবস্ত্র করে ফেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জেনেছি। এ বিষয়ে ফোনে নয় সরাসরি কথা বলবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ট্রলারের বিষয়ে ইউপি সদস্য আমাকে জানালে তাকে জিম্মায় রাখতে বলি।
ঐ রাতেই ট্রলারটি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ইউপি সদস্যকে মারধরের খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি ও আহত ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।