প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুঃ আঃ মোতালিব তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার ও সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ আগষ্ট) দুপুরে তালতলী প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি মোস্তফা কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় নিশানবাড়িয়া মৌজার এসএ ৬২, ৭২ ও ৪০৩ খতিয়ানের ২৪ একর ৭৩ শতাংশ জমি রাখাইনদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রের মালিক মোস্তফা কামালের দাদা মো. আঃ আজিজ ও পিতা মো. শাহ আলম। তাদের ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে।
হঠাৎ ওই জমি থেকে ৯ একর ২০ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের সচিব মিহিরকান্তি মজুমদার, তার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও তার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এডিশনাল আইজি.পি বনজ কুমার মজুমদার। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা চালায়। জমি দখলে নেওয়ার জন্য ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে আমাকে তাদের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় সোহেল, জুয়েল, সজিব, ফারুক খান, মাসুমের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করে হাত, পা ভেঙে পঙ্গু করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমি জমি চাষাবাদ করতে গেলে তাদের লালিত সন্ত্রাসী আমতলী পৌরসভার সাবেক কমিশনার জুয়েল, ও স্থানীয় বাসিন্দা নুরুজ্জামান, ফারুক খান, সোহেল, জুয়েল গং চাষাবাদে বাধা দেয়। এবং আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।এছাড়াও সাবেক সচিব মিহিরকান্তি মজুমদার, তার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও ভাই বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল আইজিপি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই এলাকার ফুলমিয়া মুন্সী ও ফরিদা বেগম এর জমি দখল করে ড. এম. কে মজুমদার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে।
এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির জমি দখল ও নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে বলে ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল জানান। এবিষয়ে সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, ৬০ বছরের পুরোনো ভূয়া দলিল বানিয়ে মোস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলন করছে। ৬০ বছরে কোনো খবর নেই। এ অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।