কর্মক্ষম স্বামীকে হারিয়ে ৩ সন্তান নিয়ে বিপাকে পরেছেন স্ত্রী আন্নি আকতার

0
কর্মক্ষম স্বামীকে হারিয়ে ৩ সন্তান নিয়ে বিপাকে পরেছেন স্ত্রী আন্নি আকতার

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ ৩ সন্তান নিয়ে সিএনজি চালক আমির হোসেনের স্ত্রী আন্নি আকতার এখন অসহায়। ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমাবাদ সিএনজি চালক আমির হোসেন বাসায় ফেরার পথে ঢাকার রামপুরায় দু পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পর পর ৩টি গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই ঢলে পরে যায়।

কর্মক্ষম স্বামীকে হারিয়ে ৩ সন্তান নিয়ে বিপাকে পরেছেন স্ত্রী আন্নি আকতার। সন্তানদের নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন তিনি। সন্তানদের ;নপোষন ও লালন পালনের জন্য প্রধান মন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন। জানা গেছে, তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া এলাকার মৃতু আলতাফ হোসেনের পুত্র আমির হোসেন প্রায় ১ যুগ আগে কাজের সন্ধানে স্ত্রী আন্নি আকতারকে নিয়ে ঢাকা যান। ঢাকার রামপুরার পশ্চিম ওলান রোডের চান্দু মিয়ার বাড়ীতে ভাড়া থেকে সিএনজি চালাত আমির।

সেখানেই আরমান (৮), আরিয়ান (৫) ও আমেনা (১) নামের তিনটি সন্তানের পিতা হন তিনি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দু পক্ষের সংঘর্ষের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমাবাদ মারা যান আমির হোসেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ময়না তদন্ত ছাড়াই এনে তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন। নিহত আমির হোসেনের স্ত্রী আন্নি আকতার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার আর কিছুই রইলনা।

স্বামী মারা না গিয়ে আমি মারা গেলে ভালো হতো। এখন আমার তিন সন্তানদের ;ন পোষন কে দেবে। আমি কিভাবে সন্তানদের লালনপালন করবো। সন্তানদের ;নপোষন ও লালন পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তা চাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, হত দরিদ্র আমির হোসেন দির্ঘদিন যাবত সিএনজি চালাত।

কোটা আন্দোলনের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমির হোসেন মারা যান। তার রেখে যাওয়া ৩টি সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী আন্নি আকতার এখন খুবই অসহায়। ওদের সহযোগীতার জন্য সরকরের কাছে জোড় অনুরোধ জানাই। তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত আমির হোসেনের বাড়ী পুলিশ পাঠিয়ে খোজ খবর নিয়েছি। নিহতের ঘটনাস্থল ঢাকায়। ওই স্থানেই পুলিশ ব্যবস্থা নেবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, নিহত আমির হোসেনের বাড়ী পরিদর্শন করেছি। তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here