কালভার্ট নয় যেন মরণ ভাঁদ,ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

0
কালভার্ট নয় যেন মরণ ভাঁদ,ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর শহরের ব্যস্ততম ও জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোর মধ্যে মহেশপুর-যশোর হাইওয়ে সড়কটি প্রধান। শহরের হুদোর মোড়-বেলেমাঠ বাজারের মাঝামাঝি স্থানের কালভার্ট ভেঙ্গে দীর্ঘ দিন যাবত রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও প্রশাসনের কোন নজর নেই। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন। এই সড়কে একটু ভুলে ঝড়তে পারে তরতাজা প্রাণ। ফলে রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কালভার্টটির দুই পাশে ধসে গিয়ে বড় বড় দুটি গর্ত হয়েছে। মাঝখানেও ভেঙ্গে যাওয়ায় প্লেনসিট দিয়ে কোনরকম যানবাহন চলাচলের যাতায়াতের ব্যবস্থা কওে দেওয়া হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টটির মাঝখান দিয়েই বাস, ট্রাকসহ ভারি যানবাহন চলাচল করছে। মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭ মাস ধরে কালভার্টটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে।

বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে অপরিচিত লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় দূর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ জেলা ও উপজেলা সদরে চলাচল করাসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যও সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও সকল কাজেই এ উপজেলার মানুষকে যশোরের উপর নির্ভর করতে হয়। সামান্য অসুস্থ্য হলে এলাকার মানুষকে পাঠানো হয় যশোর হাসপাতালে। এই সড়কটিই যশোরের সাথে যোগাযোগের সহজতর একমাত্র মাধ্যম।

প্রশাসনের এমন গাফিলতিতে কালভার্টটি সংস্কার না হওয়ায় মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এক পথচারী হারুন-আর রশিদ বলেন, কিছুদিন আগে ভাঙ্গা ওই কালভার্টে মোটরসাইকেল ও অটোভ্যান পরে গিয়ে দুইজন ব্যক্তি গুরুতর ভাবে আহত হন। উপায় না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলাচল করতে হয়। দ্রুত এর সমাধান না করলে আরো বড় দূরঘটনা ঘটতে পারে। আরেক পথচারী ফারুক হোসেন বলেন, কালভার্টটির দুই পাশ ধসে গিয়ে দুটি বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে।

মাঝখনও ভেঙ্গে যাওয়ায় প্লেনসিট দিয়ে চলচলের কোন রকম ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। আমিসহ হাজার হাজার মানুষকে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় মনেই থাকেনা কালভার্টটি ধসে গেছে। কালভার্টি যেন এখন একটি মৃত্যুমরণ ফাঁদ। চলাচলে খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হয়। কয়েকজন ট্রাক ড্রাইভার জহিরুল ইসলাম ও মামুন, অটো ভ্যান চালক মনিরুল, ট্রলি চালক সোহেল বলেন, কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচল অনেকটা জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।

বর্তমানে এটি নাজুক অবস্থায় থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেও হাজার হাজার গাড়ি চালকদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা কালভার্টের উপর দিয়ে যানবাহনে যাতায়াত করছে। অনেক দিন ধরে ভাঙা থাকায় কালভার্টের ধসে যাওয়া অংশটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে দিন দিন ঝুঁকি আরো বাড়ছে।

মহেশপুর উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ শাহারিয়ার আকাশ জানান, রাস্তাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের যে কারনে তাদের কিছুই করার নেই।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ইয়াসমিন মনিরা জানান, বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগকে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই কালভার্টটি সংস্কার করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here