প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা সংবাদদাতা: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় থানায় হামলা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রোববার (৯ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ কর্মী এজাহারভুক্ত আসামি ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের মোস্তাক সিক্দারকে পুলিশ রোববার দুপুরে আটক করে।
এতে ক্ষিপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের মধ্যে আহত হয়েছেন ২০/২৫ জন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ মিনিটের এ হামলা ঘটনায় অন্তত ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে দুজনকে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামি মোস্তাক ও হামলাকারীরা সবাই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়াদ্দারের সমর্থক।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোযোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনমনে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় । এদিন সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকি দেন।
এ সময় হাজারো জনতার সামনে মেয়র আরও বলেন, এ দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এ ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা না হলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করব। পৌর মেয়রের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় ওসির বিরুদ্ধে এমন হুমমিমূলক বক্তব্য প্রদান নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।