প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহনের অভিযোগ পাওযা গেছে। তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ব্যাখ্যা না পাওয়ায় ২৯ মে(বুধবার) দুপুর ১২ টায় ছাড়পত্র পওয়ার পরও বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন।
অভিযোগকারী ফিরোজ তার গর্ভবতী স্ত্রীকে গত ২৫ মে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান। এরপর ২৬ মে (সোমবার) স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার স্ত্রীর সিজার করানো হয়। এ সময় ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সারোয়ার আলম গর্ভবতীর স্বামীর কাছ থেকে ১হাজার ৫শত টাকা আদায় করেন। এই টাকাটি কেন নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে চিকিৎসক সারোয়ার আলম ওই গর্ভবতীর স্বামীকে বলেন, অ্যানেসথেসিয়া করতে এবং বাহির থেকে চিকিৎসক আনতে ঐ টাকা নেওয়া হয়েছে।
প্রদানকৃত অর্থের বিল-ভাউচার চাইলে পরে দেওয়া হবে বললেও ফিরোজ তার নবজাতকসহ অসুস্থ স্ত্রীকে রিলিজ নিয়ে ২৯ মে(বুধবার) বেলা একটায় ইউ.এইচ.এন্ড এফপিও’র দপ্তরে দেখা করতে গেলে সেখানে কিছু না শুনে ইউ.এইচ.এন্ড.এফপিও ডা. মশিউর রহমান ওই প্রসুতির স্বামীকে তাড়িয়ে দেন। এসময় ডা. সারোয়ার আলম সেখানেই বসা ছিলেন। এর প্রতিবাদে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি তার অসুস্থ স্ত্রী ও নবজাতক কে নিয়ে হাসপাতালেই অবস্থান করছেন।
সংক্ষুূদ্ধ অভিভাবক ফিরোজ জানান, সরকারি হাসপাতালে একজন চিকিৎসক কোনভাবেই রোগীর কাছ থেকে রসিদ ছাড়া অর্থ নিতে পারেন না। অভিযুক্ত চিকিৎসক সারোয়ার আলমের সাথে মুঠোফোনে রশিদ ছাড়াই এই অর্থ গ্রহণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমানকে অবগত করে অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
ভূক্তভোগী ফিরোজ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।