প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দুগ্ধ ও পোলট্রি খামারিদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪’ এর উদ্বোধন করেছেন।প্রাণীসম্পদে :বো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে নিয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মতলব উত্তর উপজেলা এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
বার দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মতলব উত্তর উপজেলায় মাঠে এই সেবা সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি চাকমা মিত্র। সেবা সপ্তাহ আয়োজন করছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, ৩৯টি স্টলে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস,মুরগী, কবুতরসহ কয়েক প্রকার পোষা প্রাণী ছিল।
অন্যবারের তুলনায় এবার বড় পরিসরে সেবা সপ্তাহ আয়োজন করা হয়েছে।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা অংশ নিয়েছে। খামারি তাদের সেরা গরু, ছাগল, পোষা প্রাণী, পাখিসহ নানা পশু তুলেছেন। মেলায় ৬ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার ও সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন-মতলব উত্তর উপজেলা প্রার্ণী সম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র দাস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান তপুর পরিচালনায়আরো বক্তব্য দেন- ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র লায়ন আলহাজ্ব আরিফ উল্লাহ সরকার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান খান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা আক্তার, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গজরা ইউপির চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ মাস্টার, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, উপজেলা ডেইরি ফার্ম এসোশিয়েনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াছ কুরুনী।
মতলব উত্তর উপজেলার পোলট্র্রি ও ডেইরি খামারিরা মেলায় তাদের গবাদি পশু-পাখি প্রদর্শনের জন্য যোগ দিয়েছেন। প্রোটিনের স্থানীয় চাহিদা মেটাতে বেসরকারি খাতকে এই ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একিমিত্র চাকমা।তিনি মানবদেহের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মাছ ও প্রাণীগুলোর জন্য নিরাপদ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলেন।
