প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামালঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে
মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপিত হয়েছে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার সময় কলেজের হলরুমে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ইসলাম শিক্ষা বিভাগের) মোঃ মাকবুল আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও কলেজের সিনিয়র প্রভাষক মোঃ কামরুন হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসাইন মোঃ ইয়াছিন ঢালী।আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা) মোঃ আলম খান, সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার দেওয়ান, সিনিয়র প্রভাষক (ইসলামী শিক্ষা বিভাগ) মোঃ হাবিবুর রহমান, শিক্ষার্থী মুনমুন আক্তার প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজী বিভাগ) এমএ হাকিম খান,সহকারী অধ্যাপক মোঃ গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া (যুক্তিবিদ্যা), সিনিয়র প্রভাসক এবাদুল গাজী (যুক্তিবিদ্যা), সিনিয়র প্রভাষক মান্না আক্তার (বাংলা), প্রভাষক অর্থনীতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, কামরুল হাসান (রাষ্ট্র বিজ্ঞান), মমিনুল ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন হিসাব বিজ্ঞান, মোঃ ছালাউদ্দিনসহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা সভা শেষে দেশ ও পৃথিবীর সকল মুসলমানের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মুনাজাত বিশেষ দোয়া করা হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন, সহকারী অধ্যাপক ইসলাম শিক্ষা বিভাগের মাকবুল আহম্মেদ।সিনিয়র প্রভাষক ইসলামী শিক্ষা বিভাগ এর মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীূনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে রাষ্ট্রীয়ভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ’’পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)” পালন / উদযাপন করার নির্দেশনা দেওয়াকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম হাক্কানী আলেম,ওলামাদের সংগঠিত করে পবিত্র ইসলামের সঠিক রুপ জনগণের সামনে তুলে ধরার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার দিকনির্দেশনায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা সিরাত মজলিস নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়।প্রসঙ্গত সিরাত মজলিস ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে রবিউল আউয়াল মাসে ১২ই রবিউল আউয়ালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে পবিত্রঈদেমিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল উদযাপনের কর্মসুচি গ্রহণ করেন।
সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বাইতুল মোকারাম মসজিদ চত্ত্বরে মাহফলের শুভ উদ্বোধন করেন। একজন সরকার প্রধান হিসেবে জাতীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিলের উদ্বোধন উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম দৃষ্টান্ত।উল্লেখ্য,বঙ্গবন্ধুর এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রতি বছর জাতীয় ভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল উদযাপন হয়ে আসছে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ), শব-ই-কদর,শব-ই বরাত,উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা এবং উল্লেখিত দিনগুলোতে সিনেমাহলে সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদানঃ ইসলামের ধর্মীয় দিবস,যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাংলাদেশে প্রথম পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) ,শব-ই-কদর, শব-ই-বরাত, উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।