চাঁদপুর নৌ পুলিশের এসপি মোঃ কামরুজ্জামানের মোহনপুরে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন ও লিফলেট বিতরণ

0
চাঁদপুর নৌ পুলিশের এসপি মোঃ কামরুজ্জামানের মোহনপুরে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন ও লিফলেট বিতরণ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল ঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন,জনগুরুত্বপূর্ন সচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেছেন চাঁদপুর নৌ পুলিশের এসপি মোঃ কামরুজ্জামান। নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উদ্যোগে মোহনপুর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন,জনগুরুত্বপূর্ন সচেতনতামূলক লিফলেট ও এ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

রোববার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার মোহনপুরের বেরীবাধ সংলগ্ন বালুর মাঠে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন, জনগুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং জনগুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করেন চাঁদপুর নৌ পুলিশের এসপি মোঃ কামরুজ্জামান। এরপর তিনি হাটের বিভিন্ন ক্রেতা-বিক্রেতাদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের নানা বিষয়ে কথা বলেন।

এসময় মোহনপুর নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান, পশুর হাটের ইজারাদার মোঃ সাব্বির আহমেদ তফাদার, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউল আলম তফাদার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক সেলিম তফাদার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। লিফলেট বিতরণ ও হাট পরিদর্শনকালে চাঁদপুর নৌ পুলিশের এসপি মোঃ কামরুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে নৌপথে ডাকাতিরোধে নৌ পুলিশ কঠোর প্রস্তÍুতি নিয়েছি। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। গরু ব্যবসায়ীরা যাতে নিরাপদে নির্ভিঘ্নে গরু কেনাবেচা করে নদী পথে নদী তীরবর্দি সড়কগুলোতে বাড়ি ফিরতে পারেন সেজন্য চাঁদপুর নৌপুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

গরু ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে নৌ-পুলিশ পাশে রয়েছে। যে কোন ধরনের সমস্যা হলে নৌপুলিশকে অবহিত করবেন। তাৎক্ষনিক সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে যখন পশুরহাটে করু বিক্রি করতে হাটে আসবেন তখন অনেক নদীতে ডাকাতির কবলে পড়তে হয় আবার অনেক গরু বিক্রি করে বাসায় ফেরার পথে তখন হয়তো ডাকাত দলের কবলে পড়লে আজকে আমরা আপনাদের মাঝে আমাদের নৌপুলিশের ও সকল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির নাম্বার এবং আমাদের কন্ট্রোল রুমের নাম্বার দেওয়া রয়েছে আপনারা তাৎক্ষনিক নৌপুলিশকে অবহিত করবেন।

আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে সর্বদা প্রস্তÍুত রয়েছি। এব্যাপারে সবাইকে নৌপুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। তবে এই ঈদকে সামনে রেখে আপনাদের প্রতি আহবান থাকবে যে আপনারা নগদ টাকা লেনদেন না করে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় লেনদেন করার জন্য। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে নৌ-পুলিশকে অবহিত করবেন নৌপুলিশের পক্ষ থেকে আপনাদের নিরাপদে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন যে মতলব উত্তরের মোহনপুরের আশপাশ ষাটনল নদী থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত আগে ঈদের পূর্বে অনেক ডাকাতির ঘটনা ঘটতো। বিশেষ করে ঈদের আগে ডাকাতি হতো।

কিন্তÍু গত ১ বছর ধরে আমাদের নৌপুলিশ সদস্যদের কার্যকরি ভুমিকায় এখন আর ডাকাতি আর হচ্ছেনা। নাই বল্লেই চলে। যে কয়টা ডাকাতি হয়েছিলো তারা নৌপুলিশের হাতে আটক হয়েছিলো। গত মে মাসের ২ তারিখে এইখানে আমরা সেই মাজির গাছতলা থেকে ধাওয়া করে ৯ জন ডাকাতকে আমরা মুন্সিগঞ্জ থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। ৩৫ লক্ষ টাকা ডাকাত দলের কাছ থেকে ফেরত এনে সেই গরুর পাইকার ভাইদেরকে ফেরত দিতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই গত দেড় বছর থেকে এই মেঘনা নদীতে ডাকাতির চেষ্টা করলেও তারা সফল হতে পারে নাই,তারা নৌপুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। যার ফলে নদীতে ডাকাতি অনেকটা কমেছে।

এ বছল ঈদকে কেন্দ্র করে যাতে ডাকাতির ঘটনা না ঘটে সেজন্য নৌ-পুলিশ দিনেরাগে ২৪ ঘন্টা নদীতে টহলরত আছে। নৌপুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের চলাচল নিরাপদ রাখতেছি। আশা করি কোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটবে না। তবে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। শুধু পুলিশের উপর নির্বও হলে চলবে না,নিজেদেরকেও কিছু দায়-দায়িত্ব রয়েছে। নিজেরা নিজেদের যদি সর্তক থাকেন, তার সাথে আমরা নৌপুলিশ যে ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি সবকিছু মিলে আমরা মনে করি ইনশাল্লাহ এবারের ঈদযাত্রা খুবই নিরাপদ হবে।

ঈদ হউক সবার জন্য আনন্দময় ঈদ মোবারক। এদিকে জমে উঠেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর কোরবানির পশুর হাটের বেচাকেনা। ঈদ ঘনিয়ে আসায় শেষ মুহুর্তে উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসা পশুর হাটে বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। রোববার (২৫ জুন) মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর, কালিপুর ও নিশ্চিন্তপুরসহ কয়েকটি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বেশ জমে উঠেছে। হাটটিতে ছোট-বড় সব ধরনের দেশীয় জাতের গরু উঠেছে। চাহিদা বেশি মাঝারি সাইজের গরুর। বেচাবিক্রিও হয়েছে খুবই ভালো।  রোববার এই বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত গরু উঠেছে বাজারে।

বেচাকেনাও ভালো। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দাম নিয়ে মোটামুটি। হাটটিতে ছোট-বড় সব ধরনের দেশীয় জাতের গরু উঠেছে। চাহিদা বেশি মাঝারি সাইজের গরুর। মোহনপুর গরুর হাটে গরুর বাজারে মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে । এতে ক্রেতারাও খুশি, খামারি ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। হাটে দেশি জাতের গরুর আধিক্য দেখা যায়। এবার এই উপজেলায় দুটি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি বসেছে ১১টি অস্থায়ী পশুর হাট। তবে এ বছর গোখাদ্যের মূল্য বাড়ায় পশু লালনপালনে খরচ বেশি হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে পশুর উপযুক্ত মূল্য পাবেন কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারিরা। দশানী গ্রামের গরু ক্রেতা আতাউল্লাহ মহসিন বলেন, পুরো বাজার ঘুরে অবশেষে একটি গরু কিনলাম ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। আমার কাছে মনে হচ্ছে, দাম সাধ্যের মধ্যে আছে। আমি খুব খুশি।  চরকাশিম এলাকার গরু বিক্রেতা আব্দুল আলী বাদশা বলেন, তিনটি গরু এনেছি হাটে, দুটি বিক্রি করেছি।

মোটামুটি লাভ হয়েছে। পশুর হাটের ইজারাদার মোঃ সাব্বির আহমেদ তফাদার বলেন, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদে মোহনপুর বেরীবাধ সংলগ্ন বালুর মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসে। এখানে চরাঞ্চল থেকে শুরু আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা আসেন কোরবানির গরু কেনাবেচার জন্য। আজকে আমাদের হাটে প্রচুর দেশি গরু উঠেছে। ক্রেতা উল্লেখযোগ্য। বিক্রিও বেশ ভালো হয়েছে। হাসিলের টাকাও কম নেয়া হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here