প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল ঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় সিএসবি ব্রিকসফিল্ড সংলগ্ন ধনাগোদা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া ব্রিকসফিল্ড ইটভাটা নারী শ্রমিক মিনা বেগম (৪০) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর আজ সোমবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে মতলব উত্তর উপজেলার ধনাগোদা নদীর তীরে কচুরিপানার সাথে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোঃ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। দুপুর ১২টার সময় তার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া নারী শ্রমিক মিনা বেগম কিশোরগঞ্জ জেলার পয়ত্রিশ গ্রামের কিরন মিয়ার স্ত্রী। মিনা বেগম চার মেয়ে ও এক সন্তানের জননী। উপজেলার মাইজ কান্দি গ্রামের সিএনজি চালক মন্নান এর স্ত্রী আমেনা এক এক গৃহবধূ সকালে ধনাগোদা নদীতে গোসল করতে গেলে ইট ভাটার নারী শ্রমিক মিনা বেগম (৪০) এর মরদেহ ভাসমান দেখতে পায়।
পরে নৌ- পুলিশকে খবর দেয়া হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর মোহনপুর নৌ পুলিশ-ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোঃ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবরটি পাওয়ার পর মোহনপুর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোঃ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মোহনপুর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, গত শনিবার (৬ মে) সকাল ১০ দিকে মতলব ধনাগোদা নদীতে গোসল করতে নামে ইটভাটা শ্রমিক মিনা বেগম।
এ সময় তার ছেলে কাউছার (১২)সহ আরো কয়েকজন তীরে উঠে আসতে পারলেও তার মা মিনা বেগমন নদীর স্্েরাতে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। তিনি দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানাযায়,এর আগে গত শনিবার (৬ মে) সকাল ১০ টায় মতলবের ধনাগোদা নদীতে ৫/৬ জনের একটি দল গোসল করতে পানিতে নামেন। এসময় গোসল শেষে বাকিরা তীরে উঠতে সক্ষম হলেও মিনা বেগম স্্েরাতের তোড়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর নদী ষ্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ মহিলা মিনা বেগমকে উদ্ধার করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে নেমে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা উদ্ধার কাজ অব্যাহত রাখে। এ সময় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সাড়ে চার ঘন্টা উদ্ধার কাজে কার্যক্রম চালিয়ে যাই বিকাল চারটা পর্যন্ত। আমাদের আয়াত্তের মধ্যে না থাকার কারনে মতলব উত্তর থানার এসআই সোহেল ও এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে আমরা উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করি।
উদ্ধার হওয়া মরদেহ মিনা বেগম ৫ সন্তানের জননী। সাথে ৩ মেয়ে ও এক মাত্র ছেলে থাকতেন। মায়ের সাথে থাকা ২য় মেয়ে জান্নাত (১৮), ৩য় ছেলে কাউছার (১২),৪র্থ মেয়ে ইসনাত (১০) ও ৫ম মেয়ে মিতু (৮)। ইটভাটার শ্রমিক বিল্লাল হোসেন ও নিখোঁজ মিনা বেগমের ছেলে কাউছার জানান, আমরা এক সাথে নদীতে গোসল করতে নামি, আমরা কয়েক জন গোসল শেষে তীরে উঠি, মা যে আর ফিরে আসেনা, মা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। মা সাঁতার জানে, কেন যে এমন হলো, বুঝতে পারছিনা।
আমার মাকে আজকে সকাল ৯টার দিকে মার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাই। এদিকে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মিনা বেগমের মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানান মোহনপুর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোঃ মনিরুজ্জামান।