প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল ঃ গত ৬ মে শনিবার সকাল ১০ টায় চাঁদপুরের মতলব উত্তরের সাহেব বাজার এলাকায় সিএসবি ব্রিকসফিল্ড সংলগ্ন ধনাগোদা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হল মিনা বেগম (৪৫)। নিখোঁজের ৩১ গণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও সন্ধান মেলেনি ইটভাটার শ্রমিক মিনা বেগমের।
গতকাল ৬ মে শনিবার থেকে আজ রোববার (৭ মে) দিনব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলের খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান মিলেনি তার। মিনা বেগম সিএসবি ব্রিকসফিল্ডের একজন কর্মচারী। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার পয়ত্রিশ গ্রামের কিরন মিয়ার স্ত্রী। মিনা বেগম চার মেয়ে ও এক সন্তানের জননী। স্থানীয়রা জানান, মিনা বেগম সহ আরো তিনজন গতকাল শনিবার (৬ মে) সকাল ১০ টায় ধনাগোদা নদীতে ৫/৬ জনের একটি দল গোসল করতে পানিতে নামেন।
গোসল শেষে বাকিরা উপরে উঠলেও মিনা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সাথে ছিল মিনা বেগমের এক মাত্র ছেলে কাউছার (১২)। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া না গেলে খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে । পরে চাঁদপুর নদী ষ্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ মহিলা মিনা বেগম ক উদ্ধার করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে নেমে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা উদ্ধার কাজ অব্যাহত রাখে।
ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সাড়ে চার ঘন্টা উদ্ধার কাজে কার্যক্রম চালিয়ে যাই বিকাল চারটা পর্যন্ত। আমাদের আয়াত্তের মধ্যে না থাকার কারনে মতলব উত্তর থানার এসআই সোহেল ও এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে আমরা উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করি। ইটভাটার শ্রমিক বিল্লাল হোসেন ও নিখোঁজ মিনা বেগমের ছেলে কাউছার জানান, আমরা এক সাথে নদীতে গোসল করতে নামি, আমরা কয়েক জন গোসল শেষে তীরে উঠি, মা যে আর ফিরে আসেনা, মা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়।
মা সাঁতার জানে, কেন যে এমন হলো, বুঝতে পারছিনা। আমার মাকে আর কি খুঁজে পাবো না। এদিকে মিনা বেগমের স্বামী মোঃ কিরন ও তার বড় মেয়ে চম্পা (২০) এবং মিনার বড় বোন রেখা তার বোন নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তারা অনেক খুঁজা খুঁজি করতে থাকেন। মিনা বেগম ৫ সন্তানের জননী। সাথে ৩ মেয়ে ও এক মাত্র ছেলে থাকতেন। মায়ের সাথে থাকা ২য় মেয়ে জান্নাত (১৮), ৩য় ছেলে কাউছার (১২),৪র্থ মেয়ে ইসনাত (১০) ও ৫ম মেয়ে মিতু (৮)।
মিনা বেগম ১ ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে ইট ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার উপর নেমে আসে আষাঢ়ের বন্যা। পরদিন আজ ৭ মে (রবিবার) মিনার স্বামী, ছেলে ও স্বজনরা মিনার লাশ খোঁজার জন্য কেহ ট্রলার যোগে কেউ নদীর তীর হেঁটে হেঁটে খোঁজা খুঁজি করছেন। কিন্তÍু নিখোঁজের ৩১ গন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ মিনার সন্ধান মেলেনি।
এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত ও আমরা লাশের সন্ধান পাই নাই, আমাদের থানা পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে। এ লিখা পর্যন্ত আজ রোববার (৭ মে) বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রায় ৩১ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ হওয়া ইট ভাটা নারী শ্রমিক মিনার লাশের কোন সন্ধান মিলেনি।