প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামালঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার “আমরা ৯৩ মতলব উত্তর” বন্ধু সংগঠনের শিক্ষার্থীদের (এসএসসি ৯৩)ব্যাচের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল সকালে উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের হাশিমপুর মেঘনা পাড়ে
উপজেলার’’আমরা ৯৩ মতলব উত্তর’’বন্ধু সংগঠনের (এসএসসি ৯) ব্যাচের এর শিক্ষার্থীরা ঈদ পূর্ণমিলনী ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করেন।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন, ৯৩’এর বন্ধু অ্যাড.জসিম উদ্দিন। সমন্বয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, আমরা ৯৩ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী আঃ হালিম, ও সদস্য মোঃ নাজমুল খান। ৯৩ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী ও পান্তা ইলিশের আয়োজনের এ অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ৯৩’এর বন্ধু মোঃ উজ্জ্বল ফরাজী, আমরা ৯৩ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী আঃ মান্নান সাগর, আমরা ৯৩ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের প্রধান সমন্বয় শ্যামল কুমার বাড়ৈ, মতলব উত্তর ৯৩’এর বন্ধু সংগঠনের সভাপতি মোঃ মিলন খান, এটিএম খবির উদ্দিন মানিক খান, আশেক মাহমুদ সংগ্রাম, মোফাজ্জল হোসেন বাবু,আফরোজা আক্তার ঝুনু,সালেহা আক্তার, অ্যাড.মোহাম্মদ আলী খান বাবু, খবির উদ্দিন সরকার,বাদশা মিয়া,সোহরাব হোসেন, মোঃ শাহিন ঢালী, আবুল হোসেন শিকদার,প্রফেফসার মোঃ শাহিন আলম, মোঃ জাকির হোসেন মাষ্টার, ডাক্তার বোরহান উদ্দিন,সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন বেপারী,সানাউল্লাহ,ইদ্রিস আলী,আমান উল্লাহ সরকার,কামরুজ্জামান মজনুসহ ৯৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীসহ পরিবারের সদস্যগ।
এসময় সংগঠনের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ও ভবিষ্যত তহবিল গঠনের উপর আলোকপাত করা হয়। এসময় ৯৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ উজ্জল ফরাজীা বলেন, শিক্ষা জীবন শেষে কর্মজীবনে প্রবেশ করে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি সবাই স্মৃতি বিজড়িত সেই ছোট বেলা আজও মনকে নাড়া দেয় তাই আজ এই ঈদ পুনর্মিলনীতে এক সাথে হতে পেরে আমরা সবাই আনন্দিত আমরা আগামীতে আবারও চেষ্টা করবো এই মিলন মেলার আয়োজন করতে।
আমরা ৯৩ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী আঃ মান্নান সাগর জানান, ভবিষ্যতে সব বন্ধু মিলে আমাদের এই ব্যাচকে সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার মাধ্যমে আর্থিকভাবে যারা পিছিয়ে আছেন, কিংবা মেধাবী সন্তানদের পড়াশোনায় সহায়তা, বন্ধুদের যেকোনও বিপদে ও আনন্দে পাশে থাকা ও রাষ্ট্রীয় কোনও দুর্যোগে মানবিক কর্মকাণ্ডে মানুষের পাশে থাকবো। সভায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন আমরা ৯৩ ব্যাচ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের ঈদ পরবর্তী পুর্ণমিলনী ও পানতা-ইলিশ ভাজা,বরতার ভোজন আনন্দঘন পরিবেশ ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় এর সম্বয়কারীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ৯৩ ব্যাচ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের বন্ধুদের চোখে মুখেছিল বাধভাঙা উচ্ছ্বাস। ঈদের পরের দিন একে অপরকে পেয়ে সেলফি তোলা, গল্প, আড্ডা, স্কুল জীবনের স্মৃতি আওড়ানো, সংসার জীবনের বর্তমান ব্যস্ততা—সব মিলিয়ে একটা প্রাণবন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই উল্লেখ্য মতলব উত্তরের ৯৩ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা করোনাকালীন সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে মানবিক ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা বিভিন্ন সময় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ,অসুস্থ বন্ধু ও তার পরিবারের পাশে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সহ মানবিক, ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এসময় আমরা ৯৩ বন্ধুরা বলেন, জীবন চলার পথে প্রত্যেকের জীবনে বন্ধু নামের বিশ্বাসী ও মজবুত একটি সম্পর্কের সৃষ্টি হয়ে যায়। যে সম্পর্ক কখনো লাভ অথবা ক্ষতির ভাবনায় গড়ে ওঠে না। কিছু মুহূর্ত আমাদের সামনে হাজির হয়ে যায়, যেখানে বন্ধুর গুরুত্ব অপরিসীম। যার কাছে মনের সব লুকানো কথা আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে খুলে বলা যায়।সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে টেনে তোলা হয় বিপৎসীমা থেকে নিরাপদ স্থানে। ভুল সিদ্ধান্তের অন্ধকার হতে ফিরিয়ে আলোকিত পথের সন্ধান দেখায়।
সেই বিশ্বাসী সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে বন্ধুত্বের আসনে বসিয়ে তাকে বন্ধু বলা যায়। বন্ধু হতে পারে এক থেকে একাধিক। আত্মার সঙ্গে আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হলো বন্ধু। বন্ধু হতে পারে যে কেউ। বন্ধুত্বের কোনো বয়স নেই।পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সততা,সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সমবেদনা, মনের অনুভূতি প্রকাশ, ভয়কে জয় করায় নির্ভরশীল সঙ্গী হলো বন্ধু। কখনো কখনো পাড়াপড়শি, আত্মীয়স্বজন, অপরিচিত কেউ সামনে এসে দাঁড়ায় বন্ধুর ভূমিকায়। যৌথ উদ্যোগে হাত বাড়ায় শক্ত একটি ভিত্তি গড়ার আশায়। বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব নির্ভরশীল সৎ ও মননশীল চিন্তার ওপর। যার বন্ধু আছে সে কখনো গরিব নয়। কথাটির বিপরীতে যুক্তি দাঁড় করানো বিন্দু সুযোগ নেয়। জীবন চলার পথে দুই প্রকার বন্ধু সামনে এসে দাঁড়ায়। সৎ বন্ধু ও অসৎ বন্ধু। সাদা মনের সৎ বন্ধু কখনো নিজ স্বার্থের ঝুলির দিকে তাকায় না। অসৎ ও বিকৃত মনের বন্ধু বুকে বুক মেলায় ঠিকই। কিন্তু তার এক হাত পিঠের ওপর রাখলে অন্য হাতে থাকে সুবিধাভোগী অস্ত্র।