প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামালঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার “আমরা ৯৩ মতলব উত্তর” বন্ধু সংগঠনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার ছেংগারচর বাজার বৈঠক খানায় এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া ৯৩’এর বন্ধু মোঃ উজ্জ্বল ফরাজীর সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এরপর ইফতার ও নামাজের পর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার ও আলোচনা সভায় মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, ৯৩’এর বন্ধু মোঃ উজ্জ্বল ফরাজী। ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন,আমরা ৯৩ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের প্রধান সমন্বয় আঃ মান্নান সাগর। ইফতার মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন, ৯৩’এর বন্ধু অ্যাড.জসিম উদ্দিন। ইফতার ও দোয়ার মাহফিলের সমন্বয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, আমরা ৯৩ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী আঃ হালিম ও সদস্য মোঃ নাজমুল খান।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, আমরা ৯৩ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের প্রধান সমন্বয় শ্যামল কুমার বাড়ৈ, মতলব উত্তর ৯৩’এর বন্ধু আফরোজা আক্তার ঝুনু, বাদশা মিয়া, মোঃ ফজলু মিয়া, সোহরাব হোসেন,আশেক মাহমুদ সংগ্রাম, প্রফেসার মোঃ শাহিন আলম, মোঃ জাকির হোসেন মাষ্টার, ডাক্তার বোরহান উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন বেপারী, সানাউল্লাহ,ইদ্রিস আলী,আমান উল্লাহ সরকার, কামরুজ্জামান মজনুসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, মোঃ জাকির হোসেন মাষ্টার।
মতলব উত্তরের ৯৩ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা করোনাকালীন সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে মানবিক ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা বিভিন্ন সময় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ, অসুস্থ বন্ধু ও তার পরিবারের পাশে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সহ মানবিক, ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এছাড়া সভায় ঈদপূর্নমিলনী অনুষ্ঠানমালা সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তÍুতি সম্পন্ন করা হয়। সভায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন আমরা ৯৩ ব্যাচ মতলব উত্তর বন্ধু সংগঠনের ঈদ পরবর্তী পুর্ণমিলনী ও পানতা-ইলিশ ভাজা,বরতার ভোজন অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ চুড়ান্ত করা হয়।
এসময় আমরা ৯৩ বন্ধুরা বলেন, জীবন চলার পথে প্রত্যেকের জীবনে বন্ধু নামের বিশ্বাসী ও মজবুত একটি সম্পর্কের সৃষ্টি হয়ে যায়। যে সম্পর্ক কখনো লাভ অথবা ক্ষতির ভাবনায় গড়ে ওঠে না। কিছু মুহূর্ত আমাদের সামনে হাজির হয়ে যায়, যেখানে বন্ধুর গুরুত্ব অপরিসীম। যার কাছে মনের সব লুকানো কথা আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে খুলে বলা যায়। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে টেনে তোলা হয় বিপৎসীমা থেকে নিরাপদ স্থানে। ভুল সিদ্ধান্তের অন্ধকার হতে ফিরিয়ে আলোকিত পথের সন্ধান দেখায়।
সেই বিশ্বাসী সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে বন্ধুত্বের আসনে বসিয়ে তাকে বন্ধু বলা যায়। বন্ধু হতে পারে এক থেকে একাধিক। আত্মার সঙ্গে আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হলো বন্ধু। বন্ধু হতে পারে যে কেউ। বন্ধুত্বের কোনো বয়স নেই। পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সততা,সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সমবেদনা, মনের অনুভূতি প্রকাশ, ভয়কে জয় করায় নির্ভরশীল সঙ্গী হলো বন্ধু। কখনো কখনো পাড়াপড়শি, আত্মীয়স্বজন, অপরিচিত কেউ সামনে এসে দাঁড়ায় বন্ধুর ভূমিকায়। যৌথ উদ্যোগে হাত বাড়ায় শক্ত একটি ভিত্তি গড়ার আশায়।
বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব নির্ভরশীল সৎ ও মননশীল চিন্তার ওপর। যার বন্ধু আছে সে কখনো গরিব নয়। কথাটির বিপরীতে যুক্তি দাঁড় করানো বিন্দু সুযোগ নেয়। জীবন চলার পথে দুই প্রকার বন্ধু সামনে এসে দাঁড়ায়। সৎ বন্ধু ও অসৎ বন্ধু। সাদা মনের সৎ বন্ধু কখনো নিজ স্বার্থের ঝুলির দিকে তাকায় না। অসৎ ও বিকৃত মনের বন্ধু বুকে বুক মেলায় ঠিকই। কিন্তু তার এক হাত পিঠের ওপর রাখলে অন্য হাতে থাকে সুবিধাভোগী অস্ত্র।