প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদপুরের মতলব উত্তরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। আইনকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে অধিকাংশ হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে জাটকা।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জাটকা আহরণ, বিক্রি ও মজুদ করা নিষিদ্ধ হলেও বন্ধ হচ্ছে না, জাটকা ধরা ও বিক্রি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত, রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ছেংগারচর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারগুলোতে এবং মেঘনার তীরবর্তী গ্রামগুলোতে দেদারছে জাটকা কেনাবেচা চলছে। প্রতি কেজি জাটকা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রোববার সকাল ৯ টার সময় ছেংগারচর বাজারে সরেজমিনে জাটকা ও ইলিশের পোনা ছোট টেম্পু ইলিশ প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখা যায়। তাদের নির্ভিঘ্নে এ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ বিক্রি দেখে সচেতন মহল হতবিম্ব হয়ে যান। তারা মনে করেন এভাবে অবাধে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে ইলিশ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সূত্র আরো জানিয়েছেন, মেঘনা নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা জাটকা ধরে আড়ৎ ও হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রলার ও মিনিট্রাকে করে প্রতিনিয়ত ইলিশের পাশাপাশি জাটকা নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। আইনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে জাটকা বিক্রি হচ্ছে উপজেলার ফরাজীকান্দী আমিরাবাদ মাছের আড়ৎ, ষাটনলের বাবুর বাজার মাছের আড়ৎ, এখলাছপুর লঞ্চঘাট, সটাকী বাজার ও ছেংগারচর বাজারসহ ছোট-বড় হাট বাজারে।
কিন্তু এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই জাটকা শিকার করতে হয়। ছেংগারচর বাজার থেকে জাটকা ক্রেতা আবুল কালাম বলেন, বড় ইলিশ মাছের দাম বেশি তাই কমদামে জাটকা ইলিশ কিনেছি। নিয়মিতই এই বাজারে জাটকা পাওয়া যায়। উপার্জন কম তাই জাটকা কিনছি। প্রশাসন যদি জাটকা ধরা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম এর মোবাইলে কয়েকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যাইনি। উল্লেখ্য, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, বেচাকেনা, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কেউ মৎস্য আইন অমান্য করলে দুই বছরের সর্বোচ্চ কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।