মতলব উত্তরের দুই যমজ বোনের জিপিএ-৫ অর্জন ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার হতে চায়

0
মতলব উত্তরের দুই যমজ বোনের জিপিএ-৫ অর্জন ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার হতে চায়

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামালঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এইচএসসি পরিক্ষায় যময দুই বোন ফারহানা আহমেদ সেতু ও ফাহিমা আহমেদ ইতু জিপিএ-৫ পেয়েছে। দুজনই বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছে। ফল প্রকাশের পর বুধবার দুপুরে তারা গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফারহানা আহমেদ সেতু ও ফাহিমা আহমেদ ইতু চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের এলাকার আমিনুল আহসান ফেরদাউসের মেয়ে।

একসঙ্গে জন্ম, একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ও কলেজে পড়েছে একই প্রতিষ্ঠানে। সব ক্ষেত্রে ফলাফলও এক যমজ বোন ফারহানা আহমেদ সেতু ও ফাহিমা আহমেদ ইতু। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই জনই। নিজেদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ফারহানা আহমেদ সেতু ও ফাহিমা আহমেদ ইতু। এবার ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এণ্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নেয় তারা। একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যমজ দুইবোন এসএসসিতে জিপিএ-৫, জিএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল তারা। ভবিষ্যতে সেতু ইঞ্জিনিয়ার ও ইতু ডাক্তার হতে চায়।

ফারহানা আহমেদ সেতু বলে আলহামদুলিল্লাহ আমরা দুই বোনই জিপিএ-৫ পেয়েছি। এজন্য আমরা দুজন খুবই হ্যাপি। একই কলেজ থেকে একই সময়ে জিপিএ-৫ নিয়ে বের হয়েছি, এটা অনেক মজার একটা বিষয়। ‘আমরা অনেক খুশি। ফাহিমা আহমেদ ইতু বলে এই রেজাল্ট পেতে আমাদের বাবা-মা, শিক্ষকদের অনেক সহযোগিতা আছে। সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার মা-বাবার অনেক অবদান আছে। পাশাপাশি কলেজের শিক্ষকবৃন্দের অনেক সহায়তা করেছেন।

এ জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। ফলাফল পাওয়ার পর থেকে খুবই ভালো লাগছে। আমরা যেন আরও ভালো ফলাফল করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে, সেজন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছে। কৃতি শিক্ষার্থীদের পিতা আমিনুল আহসান ফেরদাউস বলেন, তিন মেয়েকে নিয়েই আমাদের সংসার। বড় মেয়ে ও মেধাবী। সে ও এইচএসসি ও এসএসসিতে এ প্লাস পেয়ে বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ২য় বর্ষে পড়াশোনা করছে।

ফারহানা আহমেদ সেতু ও ফাহিমা আহমেদ ইতু ওরা নিজেরাই তাদের বোনের মতো লেখাপড়ার বিষয়ে খুব আগ্রহী ছিল। কখনোই তাদের দু’জনকে পড়তে বসার জন্য বলতে হয়নি। ওদের আগ্রহের জন্য আমাদের প্রত্যাশা ছিল ওরা ভালো রেজাল্ট করবে। তারা তাই করেছে। খুব ভালো লাগার বিষয় হলো, ওরা একবোন আর একবোন খুবই ইনসপায়ার করে। তবে ওদের ভেতরে লেখাপড়া ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কখনো প্রতিযোগিতা দেখিনি। মেয়েদের এমন সাফল্যে আমি খুব খশি। ভবিষ্যতে সেতুু ইঞ্জিনিয়ার ও ইতুু ডাক্তার হতে চায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here