প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় তৃতীয় দফায় শুরু হয়েছে ট্রিডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে ছেংগারচর পৌরসভার মায়া বীর বিক্রম অডিটোরিয়ামে ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বিতরণ করা হয়
টিসিবির ডিলার মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মহসিন মিয়া অভি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের হাতে এসব টিসিবির পণ্য বিতরণ করেন। এসময় ৮নং ওয়ার্ডের পৌর প্রশাসকের সহায়ক সদস্য মোঃ মাহফুজ শিকদার,৯নং ওয়ার্ডের সহায়ক সদস্য মোঃ বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা এবং মসুর ডাল ৬৫ টাকা।
টিসিবির ডিলার মহসিন মিয়া অভি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমার বিসমিল্লাহ ট্রেডাস টিসিবি’র আওতায় ছেংগারচর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৩শ’৩৬জন, দূর্গাপুর ইউনিয়নে ৭শ’৫৩ জন, ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে ৬শ’৪৩জনকে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করে তৃতীয় দফায় টিসিবি মুল্য ৪০৫ টাকার একটি প্যাকেজে ২ লিটার সয়াবিন তৈল ২কেজি মসুর ডাল, ও ১ কেজি চিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে প্রদান করা হচ্ছে। আজ সোমবার ছেংগারচর পৌরসভার ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ১১শ’৩৬ জনকে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করে টিসিবি মুল্য ৪০৫ টাকার একটি প্যাকেজে সয়াবিন, ডাল, কেজি চিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে প্রদান করা হয়েছে।
পৌরসভায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত শনিবার (২৭ আগস্ট) পৌরসভার ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডে ১১শ’ফ্যামিলি কার্ডধারীকে প্রদান করে টিসিবি মুল্য ৪০৫ টাকার একটি প্যাকেজে সয়াবিন, ডাল, কেজি চিনি বিতরণের মধ্য দিয়ে। আর গতকাল রোববার দেওয়া হয়েছে ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ১১শ’ফ্যামিলি কাডধার্রী টিসিবি মুল্য ৪০৫ টাকার একটি প্যাকেজে সয়াবিন, ডাল, কেজি চিনি বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক কোটি নিম্নআয়ের পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দেয়া হবে। শনিবার থেকে তৃতীয় বারের মতো এ কার্যক্রম গত শনিবার শুরু হয়ে আজ সোমবার পর্যন্ত চলে ছেংগারচর পৌরসভায় এ কার্যক্রম। বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে এসব নিত্য পণ্য কিনতে পেয়ে খুশি নিম্ন মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষ। তারা এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ চালু রাখা গেলে তারা আরো উপকৃত হবেন বলে তিনি জানান।
