প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম পূরণ করে জমা দিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কাদির মোল্লা ।
১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম পূরণ করে জমা দেন। আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে মতলব উত্তর উপজেলার ৬নং কলাকান্দা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) পদে গোলাম কাদির মোল্লাকে দেখতে চায় কলাকান্দা ইউনিয়নবাসী ও কলাকান্দা ইউনিয়ন আ’লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তৃণমূলে তিনি খুবই জনপ্রিয়।
গোলাম কাদির মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে কলাকান্দা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সততা,নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার বাবা মরহুম তৈয়ব আলী মোল্লা কলাকান্দা ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। গোলাম কাদির মোল্লাও এাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবার কার্যক্রম মানুষের মধ্যে অব্যাহত রাখতে বাবা তৈয়ব আলী মোল্লার দেখানো পথে নামেন ছেলে গোলাম কাদির মোল্লা।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকার গরিব-দুঃখী ও সমস্যায় পড়ে থাকা মানুষের উপকার করে আসছেন তিনি। নিজ চোখে বাবার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বুকে ধারণ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সক্রিয় হয়ে পড়েন ছেলে গোলাম কাদির মোল্লা। নিজ ইউনিয়নের কোনো মানুষ বিপদে পড়লেই সবার আগে ছুটে যাওয়া মানুষটি তিনিই। প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের পাশে থাকায় কাদির মোল্লা এখন সবার ঝসার মানুষ। ইউনিয়নের মানুষের চাওয়া গোলাম কাদির মোল্লাকে এবার নৌকা প্রতীকে কলাকান্দা ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তবেই উন্নয়ন হবে এলাকার ও মানুষের।
কলাকান্দা ইউনিয়নের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা প্রেসনিউজ টয়েন্টিফের ডটকমকে বলেন, গোলাম কাদির মোল্লাকে নৌকা প্রতকে মনোয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। কারণ তিনি এলাকায় বাবার মতোই জনপ্রিয়। তিনি চেয়ারম্যান হলে এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, কাদির ভাই গরিবের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এরপর সাধ্যমতো তিনি সমাধানের চেষ্টা করেন। গোলাম কাদির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য প্রার্থী। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে ইউনিয়নবাসী অনেক উপকৃত হবে।
আমরা তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। এ বিষয়ে কলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার মননোয়ন প্রত্যাশী গোলাম কাদির মোল্লা বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি আমার বাবা সারাজীবন নিবেদিত ছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলকে সময় দিয়েছেন। কঠিন সময়েও তিনি দলের সিদ্ধান্ত এবং ভালো লাগা থেকে এক চুলও সরেননি। এটা এই ইউনিয়নবাসী ও আওয়ামী লীগের সবাই অবগত। বাবার কাছ থেকে সরাসরি রাজনীতি শিখেছি।
অসহায় মানুষের জন্য কীভাবে কাজ করতে হয় সেটা বাবা শিখিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। দলের মানুষের জন্য কাজ করছি। এবার এলাকার মানুষ খুব করে চায় আমাকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে। দল আমার বাবা ও আমার রাজনৈতিক কার্যক্রম বিবেচনা করে যা সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই আমার সিদ্ধান্ত। ইনশাআল্লাহ বাবার মতো শেষ দম থাকা পর্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করে যাবো এবং বাবার দেখানো পথেই চলবো।
গোলাম কাদির মোল্লা আরও বলেন,আমি এ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান। আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। যত দিন বেচেঁ থাকবো দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করে যাবো।
তিনি আরও বলেন,আমি যখন চেয়ারম্যান ছিলাম সরকার ও দলীয় নির্দেশনা মেনে জনগনের পাশে ছিলাম, আজও আছি।আমি জনগনের চাহিদা মতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সেবায় নিয়োজিত আছি এবং থাকবো। দলীয়ভাবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
জনগনের সেবার দায়ে আমি স্থায়ী ভাবে নিজ বাড়ীতে বসবাস করছি। জনগনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটলে দলীয় মনোনয়ন আমিই পাবো। যদি আমি নৌকা প্রতীক পাই তাহলে বিপুল ভোটের জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
