মতলব উত্তরে মায়া চৌধুরী নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রোববার চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গ্রামের বাড়ি মোহনপুরে নিজ বাসভবনে নেতা কর্মীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাবেক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বাংলাদেশ আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিরবীক্রম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিক্রমের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু।

সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া নিজ বাড়িতে ঈদ পরবর্তী প্রীতিভোজের আয়োজন করেন এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মোহনপুরে নিজ বাসভবনে নেতা কর্মীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কে ঘিরে মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিলো। মতলবের মাটি মায়া ভাইয়ের ঘাঁটি এ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিলো। উপজেলার প্রত্যেকটি ইউিনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নানান বাধা ও হামলা সত্ত্বেও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে প্রিয় নেতার বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। এক পর্যায় লোকে লোকারন্য হয়ে যায়।

সাবেক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজজল হোসেন চৌধুরী মায়া বিরবীক্রম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিক্রমের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু মিছিল নিয়ে আসা মুক্তিযোদ্ধা, মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীদেরকে অভর্থনা ও স্বাগত জানান। এরপর জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়। এসময় সাবেক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বাংলাদেশ আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিরবীক্রম বলেন, আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। আছে শুধু মতলবের মানুষের ভালোবাসা।

আমি এবং আমার পরিবার মতলবের মানুষের সুখে দঃখে সবসময় পাশে আছি। যেমনিভাবে অতীতে পাশে ছিলাম মৃত্যুও পর্যন্ত আগপর্যন্ত তাদের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ। হুমকি,ধামকি ও মামলা দিয়ে মানুষের ভালবাসা কেড়ে নেওয়া যায়না। ভালোবাসা পেতে হলে তাদের জন্য কিছু করতে হয় এবং তাদেরকে ভালো বাসতে হয়। আমার জীবন মরন এই মতলবের মানুষের জন্য। মতলবের মানুষের কল্যানে আমার জীবনটাকে উৎসর্গ করে দিবো। এই মতলবে যতগুলো দৃষ্টান্তমূলক উন্নয়ন হয়েছে সেকাজগুলোই প্রমান পাওয়া যায় মতলবে মায়া ছাড়া কেউ উন্নয়ন করেনি। মায়া চৌধুরী আরো বলেন, শুরু হয়েছে শোকাবহ আগষ্ট মাস।    এ আগস্ট মাসে নৃশংস, বর্বর, কলঙ্কজনক হত্যাকন্ড হয়েছিলো। জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের রক্তাক্ত বিদায় সংঘঠিত হয়েছিলো। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে গ্রেনড হামলা চালানো হয়েছিলো। ১৫ ও ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদের অব্যাহত অপচেষ্টা আজও চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে উন্নয়ন- অগ্রযাত্রাবিরোধী এ অপশক্তি সম্পর্কে। মায়া চৌধুরী আরো বলেন,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি সার্বভৌম মানচিত্রের চিত্রকর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এ আগস্টে হারিয়েছে জাতি।

আগস্ট মানে হারানোর বেদনা হায়নাদের অট্টহাসি আর ষড়যন্ত্রের গন্ধ। জাতির আদর্শের ঠিকানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর আস্থার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মায়া চৌধুরী আরো বলেন, বিশ্ব আজ এক কঠিন সময় পার করছে, উত্তর গোলার্ধ থেকে দক্ষিণের বিষুবরেখার প্রান্ত জুড়ে ঘন অমানিশা। করোনা মহামারি স্থবির করে দিয়েছে প্রাণোচ্ছল পৃথিবীকে, গোটা বিশ্ব হিমসিম খাচ্ছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও আক্রান্ত মানুষকে বাঁচাতে। বাংলাদেশের অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অসীম সাহসিকতায় মোকাবিলা করছে এ মহামারি। তিনি বলেন, আমরা আমাদের শক্তি ও মনোবল অর্জন করেছি বারবার মৃত্যুর মঞ্চ থেকে ফিরে আসা হিমালয়সম এক সাহসী ও মানবিক নেতৃত্ব থেকে, যার নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তাঁর দক্ষতা, দূরদর্শিতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধন্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বিশেষজ্ঞদের সব পূর্বাভাস ভুল প্রমাণ করে সংক্রমণ এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার পরিপেক্ষিতে সংকট ঘনীভূত হয়নি ৷ বন্যার শুরু থেকে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ যেন না খেয়ে মারা না যায় ৷ শেখ হাসিনার সরকার সব প্রতিকূলতা জয় করে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিক্রমের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর সহধর্মীনি মিসেস পারভিন চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ওসমান গনি পাটোয়ারী,

উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক চৌধুরী বাবুল, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্ত্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আশফাক হোসেন চৌধুরী মাহি,ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, আঃ ছোবহান সরকার সভা, দেলোয়ার হোসেন দানেশ, জাতীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন ফারুক আহম্মদ তিাতাস, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক কামাল জমাদার, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আহার চৌধুরী, জাপানী হান্নান, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির খান, ছেংগারচর পৌরসভার কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র রুহুল আমিন মোল্লা,

উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন খান, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আল-আমিন ফরাজী, উপজেলা যুবলীগ নেতা রুবেল মিয়া বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ জহির রায়হান, ছেংগারচর পৌরসভার কাউন্সিলর আঃ সালাম খানসহ ইউপি চেয়ারম্যান, জন প্রতিনিধি, উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন অংগ সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী, বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের জনগন। শেষে সবাই মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহন করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here