লকডাউনেও ঠাকুরগাঁওয়ে দিনরাত চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা:  করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশ যখন লকডাউনে তখন ঠাকুরগাঁওয়ে দিনরাত চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ সব ধরনের মাদক এখন পাড়া মহল্লায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ সকল বয়সের মানুষ মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা করোনা মোকাবেলায় মানবিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারনে মাদক কারবারিরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে খোলামেলা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার (১ জুলাই) শহরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট (জেলা স্কুল মাঠের দক্ষিণ পশ্চিম কোনে), শহীদ তিতুমীর সড়কের পাশে প্রসাবখানায় গিয়ে এমনই চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। দেখে যেন মনে হয় প্রস্রাবখানা নয়, ফেনসিডিলের কারখানা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন (মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের) পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণির বখে যাওয়া অসাধু মাদকসেবী সদস্যরা নানান ভাবে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি এই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে হাত রয়েছে প্রভাবশালী স্থানীয় নেতাকর্মীদের। তাদের ছত্রছায়ায় নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা এখন ওপেন সিক্রেট।

প্রসাবখানার পাশে ঝালাই মিস্ত্রির কাজ করেন হোসেন আলী। তিনি জানান, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রসহ সব বয়সের মানুষ এখানে আসেন ডাইল খাইতে। কিছু বলতে গেলেই দোষ। ললিত আর্টের মালিক ললিত রায় বলেন, তরুণ বয়সের ছেলেরা এখানে আসে। দেখে মনে হয় কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। মোটরসাইকেল মেকানিক গোপাল বলেন, মাঝে মধ্যে এখানে বোতলের স্তুপ তৈরি হয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নূরুল ইসলাম বলেন, মাদক এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে। করোনার কারণে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা কম থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একই কথা বলেন সীমান্ত এলাকার ওয়াসিম হায়াত পাঞ্জাব, আব্দুর রাজ্জাক, মিজানুর রহমান। আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের মিথ্যা মামলা খেতে হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের মালিক সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি (০১৭২৪৩৪৪৬৮৩)।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহা. মনিরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পুলিশের কোনো সদস্য মাদকের সাথে জড়িত নেই। যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও যদি কোনো পুলিশ সদস্য মাদকের সাথে যুক্ত থাকে, তবে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সদস্যরা সামাজিক কাজের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রয়েছে। গত জুনে ৫০টির অধিক মাদক আইনে মামলা হয়েছে। যার মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here