মহেশপুরে জমজ ২ বোনের গোল্ডেন জিপিএ লাভ, ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন, অন্তরায় দারিদ্রতা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জিয়াউর রহমান জিয়া মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:  বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন মহেশপুরে মেধাবী ২ জমজ বোন রুকাইয়া ও রাবেয়ার। তারা ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান
বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার পিতা মিজানুর রহমান খাঁন একজন গরিব ভূমি জরিপকারী (আমিন)।

মেধাবী চার মেয়ের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি, এখন ভাল ফল নিয়ে ছোট জমজ ২ মেয়ে কলেজে ভর্তি হবে কীভাবে, খরচ কোথায় পাবেন ? মেয়ে ভাল ফল করায় চিন্তা বেড়েছে এই দরিদ্র পিতা মাতার। তাদের লেখাপড়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রুকাইয়া ও রাবেয়া ঝিনাইদহের মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। তারা মহেশপুর পৌরসভাধীন জলিলপুর খান পাড়া মিজানুর রহমান খাঁন ও সাহিদা খাঁনের জমজ ২ মেয়ে।

বাবা মিজানুর রহমান খাঁন বে-সরকারিভাবে ভূমি জরিপের কাজ করে। তার চার মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়েই সংসার। সীমিত আয় দিয়ে মেধাবী চার মেয়ের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন খুব কষ্ট করে। বড় মেয়ে সাইদাতুনেচ্ছা
যশোর সরকারি এমএম কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী এবং মেজো মেয়ে জান্নাতুনেচ্ছা যশোর সরকারি এমএম কলেজে অনার্সে ইংরেজী বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী। ছোট ২ মেয়ে রুকাইয়া ও রাবেয়া এবার এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছে।

২ বোনের মোট প্রাপ্ত নম্বর ২০১৭। জমজ ২ বোন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের এ সাফল্যের পেছনে আমাদের পিতা-মাতা, পরিবার ও শিক্ষদের অবদান সবচাইতে বেশি। তারা লেখাপড়া করে ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। তারা আরো বলেন, তারা ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই কিন্তু প্রধান অন্তরায় পরিবারের দারিদ্রতা। ৪ শতক ভিটে জমি ছাড়া তাদের আর কিছুই নেই। পিতা সামান্য ভূমি জরিপের কাজ করে, মা একজন গৃহিনী। চার বোনের লেখাপড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পিতা মাতা।

তারা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে চাই কিন্তু পিতার দারিদ্রতার কারণে দুশ্চিন্তায় ভোগছে ২ বোনের পিতা মাতা খচর চালাতে পারবে কিনা। মা সাহিদা খাতুন বলেন, ‘আমার চার মেয়েকেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। তারা মানুষের মতো মানুষ হবে, এটাই আমার কাম্য।’ কিন্তু আমার সে স্বপ্ন কি বাস্তবায়ন হবে ? পিতা মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, ‘আমি চাই তাদের ভালো কলেজে ভর্তি করাতে। তবে লেখাপড়া করাতে অনেক খরচ। এমনিতেই বড় দুই মেয়েকে খরচ দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় আমাকে।

এবার ছোট ২ মেয়েও ভালো রেজাল্ট করেছে। চিন্তা বেড়ে গেলো। এদিকে তাদের ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার।’তিনি বলেন, ‘কিভাবে ভালো কলেজে ভর্তি করবো,অর্থের অভাবে রয়েছি। একলা কাজ করে আর পেরে দিচ্ছি না। তারপরেও কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে সাধ্য মতো চেষ্টা করে দেখি, ভালো কোথাও মেয়েকে ভর্তি করাতে পারি কিনা।’ কিন্তু অভাবের কারণে তাদের হয়তো বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি করা আমার জন্য কষ্টকর হবে।

দরিদ্র এই পরিবারের জমজ সন্তানের লেখা পড়ার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারের আর্থিক সংকট। মহেশপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন কুমার জানান, ‘জমজ ২ বোনের সফলতা আমাদের স্কুলের গর্ব। তারা ২ বোনই অসম্ভব মেধাবী।  তাদের পরিবার দরিদ্র হলেও আমি তাদের সফলতা কামনা করি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here