গাইবান্ধায় চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এর বিরুদ্ধে কর্মচারীদের অভিযোগের পাহাড়

0
গাইবান্ধায় চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এর বিরুদ্ধে কর্মচারীদের অভিযোগের পাহাড়

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিশেষ প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান সরকার এর স্বেচ্ছাচারিতা ও জেলা পরিষদের কর্মচারীদের বিদ্যমান নীতিমালা বর্হিভূতভাবে দাপ্তরিক কাজে বাধ্যকরণসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে জেলা পরিষদের অর্থ আত্মসাত করে কর্মচারীদের প্রতি অমানবিক আচরণসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে জেলা পরিষদের ভুক্তভোগি কর্মচারিরা।

‘আতাউর রহমান সরকার জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই স্বেচ্ছাচারিতা, বিদ্যমান নীতিমালা বর্হির্ভূতভাবে শাখা সহকারীগণকে নথি উপস্থাপনে বাধ্য করণ, নীতিমালা বর্হিভূতভাবে জেলা পরিষদের বিভিন্ন খাতের রাজস্ব অর্থ পরিষদের সম্মানিত সদস্য এবং কর্মচারীগণের নামে উত্তোলনে বাধ্য করণ, কর্মচারীদের চাকুরি না থাকার হুমকি প্রদর্শনসহ বিভিন্নভাবে আইনের ভয় দেখিয়ে হয়রানি ও অশালিন ভাষায় গালিগালাজ করেন’ জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বরাবর এক লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগি কর্মচারীরা  উল্লেখ করেন। অভিযোগের কপি বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিজিএফআই, এন.এস.আই, গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
দীর্ঘ এ অভিযোগপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে ২৯টি গুরুতরো অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার এর বিরুদ্ধে। যার মধ্যে প্রথম অভিযোগটিই হলো- ‘‘চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার তার নিকট আত্মীয় সাঘাটা উপজেলার (১) আব্দুল মজিদ, (২) মোঃ জাহিদুল ইসলাম, (৩) মহসীন আলী, (৪) মোঃ তমাল হোসেন, (৫) আব্দুর রশিদ নামীয় ব্যক্তিদেরকে কখনো পিএ কখনও অফিস সহায়ক কখনও দারোয়ান কাম কেয়ারটেকার বানিয়ে কোনো নিয়োগপত্র ছাড়াই ক্ষমতার দাপটে শাখা সহকারীদেরকে জেলা পরিষদের রাজস্ব বিপুল পরিমাণ অর্থ কথিত বেতন হিসেবে প্রদানে বাধ্য করেন।
অনূরূপভাবে অনুমপ দে নামীয় এক ব্যক্তিকে মৌখিকভাবে পিএ হিসেবে কাজ করার জন্য নিয়োগ দেন। উক্ত অনুপমকে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে বেতন প্রদান করার কথা থাকলেও তিনি তা না দিয়ে জেলা পরিষদের রাজস্ব খাত হতে বেতন প্রদানে সহকারীদেরকে বাধ্য করেন। কিন্তু কয়েক মাস কাজ করার পর কোনো কারণ ছাড়াই অনুমপ দে কে বের করে দেন। পরবর্তীতে অনুপম দে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিতভাবে জানান যে, চেয়ারম্যান তাকে পিএ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। যা চেয়ারম্যান এর স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুষ-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমান বহন করে।
এদিকে, মুঠোফোনে ০১৭১২-০০২৯৬২ এই নাম্বারে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকারকে কল করা হলেও তিনি বার বার ফোনটি কেটে দেন, ফলে এ প্রসঙ্গে তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। (চলবে…)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here