মাধবপুরে নিজ পুকুরে বিষ ফেলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা

0
মাধবপুরে নিজ পুকুরে বিষ ফেলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সৈয়দ সুমন:হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামে প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করতে নিজের পুকুরে বিষ দিয়ে প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করার চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বানেশ্বর গ্রামে মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মনির মিয়া ও মৃত লোদন মেম্বারের ছেলে আনিসুর রহমান নিজেদের পুকুরে বিষ ফেলে দেয়।

গ্রামের প্রাত্তন মেম্বার মোয়াব আলী জানান,গত কিছু দিন আগে হাজী আশরাফ মিয়ার একটি ফসলী জমি ড্রেজার দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করার কারণে তার পুত্র হাফেজ মোবারক মিয়া বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর কারণেই তারা হাফেজ মোবারককে ফাসাতে নিজেদের পুকুরে বিষ ঢেলে দেয়। স্থানীয় সূত্র ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বানেশ্বর গ্রামের উসমান মিয়র ছেলে লুৎফুর রহমান ও অলিউর রহমান সহ কয়েকজন মিলে ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর হাফেজ মোবারক মিয়ার জমির দক্ষিন পশ্চিম দিকে ২ টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে গর্ত সৃষ্টি করে। এতে হাফেজ মোবারক মিয়ার জমির বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে গর্তে পরে যায়।

সম্প্রতি তারা আবার মাটি ও বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করলে গত ৬ এপ্রিল হাফেজ মোবারক উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ মে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ঘটনাস্থল সরজমিন পরিদর্শন করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে নিষেধ করেন এবং পাইপ ধ্বংস করেন।

৬ মে লুৎফুর রহমানের লোকজন গভীর নলকূপ চালু করে। এতে হাফেজ মোবারকের ধানি জমি বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। গত ৭ মে হাফেজ মোবারকের পিতা জমির পাশে গিয়ে এ অবস্থা থেকে প্রতিবাদ করলে লুৎফুর রহমান ও অলিউর রহমান হাজী আশরাফ আলীর উপর হামলা করে আহত করে। এ ঘটনায় হাফেজ মোবারক বাদি হয়ে লুৎফুর রহমান সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।হাফেজ মোবারক মিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের কে তারা বিভিন্নভাবে মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। গোষ্ঠী বড় হওয়ার কারণে হুমকীর সম্মুখীন হতে হচ্ছে পদে পদে।

আমার ফসলী জমি দখল করার জন্য বিভিন্ন ভাবে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি অনন্যপায় হয়ে আইনের সহায়তা নিতে বাধ্য হয়েছি। আমাকে এখন ক্ষতিগ্রস্থ ও আইনের চোখে দোষী করতে তারা নিজের পুকুরে বিষ ঢেলে আমাকে ফাসাতে চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে মনির মিয়াকে বার বার ফোন দেয়া হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here