প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা ঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে বাহাদুপুর এলাকায় দুই হাজার বস্তা সিমেন্ট ভর্তি ট্রলারে ডাকাতিকালে তিন
আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯টায় তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ জেলার কালিচর গ্রামের মোহাম্মদ বেপারীর ছেলে মোঃ রেজাউল (২৫), একই গ্রামের মতিন বেপারীর ছেলে মো. ইন্তাজ বেপারী (৩৮) ও গিয়াস উদ্দিন বেপারীর ছেলে আবুল বাশার (২০)। এ ঘটনায় ট্রলারের সুকানী শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি গ্রামের মালেক সরদারের ছেলে আঃ ছাত্তার (২৮) বাদী হয়ে থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন।
বাদী ও তার সাথে ট্রলারে থাকা মিস্ত্রি একই জেলার হাদিস সর্দারকান্দি গ্রামের হাসান সিকদারের ছেলে মোখলেছ শিকদার (৫৫) এবং মুলগাঁও গ্রামের ফজল করিমের ছেলে মোঃ হাবিব (২২) আহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় বাদী কর্তৃক চালিত সিমেন্ট ভর্তি একটি ট্রলার নারায়ণগঞ্জ থেকে শরীয়তপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় মতলব উত্তরের বাহাদুপুর নামক স্থানে পৌছলে আরেকটি ট্রলারযোগে ডাকাত সদস্যরা এসে তাদেরকে জিম্মি করে ফেলে। পরে নদীর মাঝখানে ট্রলার নোঙর করে রাখে।
ট্রলার মালিক মুঠোফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মতলব উত্তরের মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করলে থানা পুলিশ ও নৌপুলিশ তাদেরকে রাত ৯টার দিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ডাকাতিকালে চারজন থাকলেও তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপরজন পালিয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরকে ডাকাতি মামলায় চাঁদপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে একই গ্রামের হোসেন বেপারীর ছেলে মোঃ আফজাল (২৮) পালিয়ে গেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। বাদী আঃ ছাত্তার জানান, ট্রলারে দুই হাজার বস্তা সিমেন্ট ছিল, যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা।
আমাদের সাথে থাকা দুইটি মোবাইল যার মূল্য ১১ হাজার টাকা ও সাথে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা জব্দ করে ডাকাত দল। তাদের সাথে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছিল। আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে তারা। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, প্রথমে নৌপুলিশের কাছে ডাকাতির খবর আসে। পরবর্তীতে আমরা নৌপুলিশের সহযোগীতায় ডাকাতি হওয়া ট্রলার ও মালামাল অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারি। পাশাপাশি ডাকাত দলের অস্ত্র ও ট্রলারটিও জব্দ করা হয় এবং তিন ডাকাত
সদস্যকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিরীহ মানুষদের ফাঁসিয়ে দিয়ে! তারা বেঁচে যাচ্ছে, আর যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি করছে! তারা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে! এদের বিরুদ্ধে কোন আইন নাই তাহলে কি আমরা, শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ হয়ে ভুল করেছি ! তা যদি না হয়, তাহলে কেন নিরীহ মানুষদের, এভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে ! আর যারা প্রকাশ্যে চুরি-ডাকাতি, খুন,সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করছে, তারা কেন প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে !তাদের বিরুদ্ধে কোন আইন নেওয়া হচ্ছে না ! গত 10 ফেব্রুয়ারি রাত 9:00 টায় যে ডাকাতি হয়েছে! তাদের লিডার হচ্ছেন কালির চর খালেক মিজির ছেলে, উজ্জ্বল মিজি, ওরপে উজ্জ্বল চোর !তার কথা মতই ,চাঁদপুর নৌপথে ডাকাতি করা হয়! এমন কি সে নিজেও ছিলেন, ও তার ছোট বোনের জামাই এর সাথে জড়িত ছিল, পুলিশ খোঁজ পেয়ে তার বাড়িতে যান, সে খোঁজ পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান,পুলিশ তখন তার ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখেন বড় বড়, দাও মেশিনগান ইত্যাদি পেয়ে থাকেন! এসব চুরি-ডাকাতি যারা প্রকাশ্যে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না ! আমি তাদের ,আইনের আওতায় আনার জন্য, অনুরোধ করছি!!!
যে তিন জনকে পুলিশ আটক করেছে ! তাদেরকে নদীতে ঘুমের অবস্থা ধরা হয়েছে !তাদের কাছে পুলিশ, কোন কিছু পায়নি ! এটা বিশ্বাস করবো কিভাবে,যে তারা ডাকাতি করতে গিয়েছে !ডাকাতি করতে হলে তো,অস্ত্র বড় বড় দাও, লাঠি প্রয়োজন হয় !তারা কি এগুলো ছাড়াই, ডাকাতি করতে গিয়েছে ! ঢাকাতি করতে হলে তো, কিছু না কিছু প্রয়োজন হয়!
আমি মনে করি যে এটা তদন্ত করা উচিত !তাহলে সত্যটা বের হয়ে আসবে?